সমকালীন প্রতিবেদন : নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি এবং বিক্রি করার একটি চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নকল প্রসাধনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক কারবারিকে। এই অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান চালালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্যের ফেলে দেওয়া বোতল এই কারবারিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করত। তারপর সেই বোতল পরিষ্কার করে তাতে বিভিন্ন নামী সংস্থার লেবেল লাগিয়ে দিত তারা। এরপর খালি বোতলে নকল পন্য ভরে, তা সিলপ্যাক অবস্থায় পৌঁছে যেত নানান দোকানে।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ বিবেকানন্দনগর বাজার মাঠ এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয়। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় নামী কোম্পানীর সুগন্ধী তেল এবং বডি লোশন। এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় অজয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে।
জানা গেছে, চিপস এর ব্যবসার নাম করে গুদাম হিসেবে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল। সেকথায় বিশ্বাস করে মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দনগরের বাজারমাঠ এলাকায় দেবু সাউ বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আড়ালে যে নকল প্রসাধনীর কারবার চালানো হতো, তা বুঝতে পারেন নি বাড়িওয়ালা।
পুলিশি অভিযান চালানোর সময় সেখানে উপস্থিত ছিল অজয় চক্রবর্তী নামে এক কারবারি। প্রসাধনী সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধৃতের বাড়ি লেকটাউন থানা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ৬৩ ও ৬৫ কপিরাইট অ্যাক্ট এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও ধৃতের দাবি, সে এব্যাপারে কিছু জানে না।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, পুলিশি নজর এড়াতে এবং ধরা পরার ভয়ে কারবারিরা ঘন ঘন ভাড়াবাড়ি পরিবর্তন করতো। সেভাবেই মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল কারবারিরা।
এদিনের অভিযানে ধৃত ব্যক্তিকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। এই অবৈধ কারবারে আর কারা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বড় ধরনের একটি চক্র এই কারবারে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন