সমকালীন প্রতিবেদন : পণের দাবিতে গৃহবধূর উপর শারীরিক অত্যাচার এবং তার ফলে বধূর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ থানার ঘাটবাওড় এলাকায়। মৃত বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে বধূর স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মাস দুয়েক আগে বনগাঁর কুঠিবাড়ি এলাকার যুবতী মাম্পি মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাটবাওড়ের যুবক শুভম বিশ্বাসের। মাম্পি এবং শুভম নিজেরাই পছন্দ করায় দুই পরিবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে। মাম্পির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের আগেই তারা জানতেন যে শুভম নেশায় আসক্ত। তবুও মেয়ের কথা ভেবে তারা এই বিয়েতে রাজী হয়েছিলেন।
মাম্পির বাবা অসীম মন্ডলের অভিযোগ, বিয়ের সময় পাত্রের পরিবারের দাবিমতো যথেষ্ট পণ দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আরও পণের দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হতো। ঠিক করে খেতে পর্যন্ত দিত না।
তাঁর আরও অভিযোগ, অত্যাচারের মাত্রা মাঝেমধ্যে এতোটাই বেড়ে যেত যে, সেইসময় মাম্পি বাপের বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হতো। বিয়ের সময় মাম্পিকে যেসব গয়না দেওয়া হয়েছিলো, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেইসমব গয়না ইতিমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছে। এমনকি কন্যাশ্রীর টাকাটাও তুলে নিয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি মাম্পি তার বাবাকে ফোন করে বলেন যে, তিনি খুব অসুস্থ। তাকে যেন বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মাম্পিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুদিন সেখানে চিকিৎসা চলার পর রবিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মাম্পির। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারেই মাম্পির এই অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মাম্পির বাবা অসীম মন্ডল।
এইমর্মে তিনি বনগাঁ থানায় মাম্পির স্বামী শুভম বিশ্বাস এবং শাশুড়ি মুক্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মাম্পির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই মাম্পির পরিজনেরা তার শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মাম্পির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন