সমকালীন প্রতিবেদন : তৈরি হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ভেঙে গেছে রাস্তা। গ্রামে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল পরিদর্শনে এলে সেকথা তুলে ধরলেন গ্রামবাসীরা। যদিও সেব্যাপারে তেমন কোনও হেলদোল দেখা গেল না কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিদের।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত এলাকায় সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে শুরু হয়েছে এই পরিদর্শনের কাজ।
রবিবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উপভোক্তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি বানানোর টাকা সঠিকভাবে পেয়েছেন কি না, যেসব গ্রামবাসীর নাম এই প্রকল্পে থাকার কথা, তাদের নাম আছে কি না, কারা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন বাগদার সিন্দ্রানী এবং কনিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুড়ে দেখেন তাঁরা। উপভোক্তাদের পাশবই খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা।
এদিন এই কর্মসূচি চলাকালীনই বেশ কিছু গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তারা গত দেড় বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। এই বকেয়া টাকার পরিমান মাথাপিছু ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা তারা কবে পাবেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেন নি কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে ফের পরিদর্শনের কাজে নেমে পরেন প্রতিনিধিরা। এদিন বাগদার কনিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুড়ে দেখেন তাঁরা। বালিদাপুকুর গ্রামে যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের একটি রাস্তা দেখিয়ে অভিযোগ করেন, এক বছর আগে এই রাস্তা তৈরি হলেও এরই মধ্যে সেই রাস্তা বেহাল হয়ে পরেছে।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে প্রশ্ন করা হলে, সাংবাদিকদের কাছে তারা শুধু জানান, 'আপনারাও যা দেখলেন, আমরাও তাই দেখলাম।' এর বেশি কিছু জানাতে চান নি তাঁরা। ফলে এই রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীদের যে অভিযোগ, তা আদৌ কোনও কাজে আসবে কি না, তা জানেন না গ্রামবাসীরা।
এই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাত্র এক বছর আগে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। কোনও ভারি গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে না। তাতেও এক বছরের মধ্যেই রাস্তা বেহাল হয়ে পরেছে।
গ্রামবাসীদের ধারনা, রাস্তা তৈরির জন্য যে টাকা খরচ হযেছে বলে বলা হচ্ছে, সেই টাকা আদৌ খরচ করা হয় নি। কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসবে শুনে গতকালই তড়িঘড়ি পুরনো ফলকে নতুন করে লেখা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন