সমকালীন প্রতিবেদন : চারচাকা গাড়ির ইঞ্জিনের ডিকিতে করে কাশির সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। বিএসএফের তৎপরতায় অবশেষে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হল। উদ্ধার হল প্রচুর কাশির সিরাপ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পাচারকারীকে। আটক করা হয়েছে গাড়িটিকে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তলাগোয়া হাকিমপুর এলাকা দিয়ে একটি চারচাকার গাড়ি সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। এই সময় ওই সীমান্ত এলাকায় প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা।
গাড়িটিকে দেখে সন্দেহ হয় প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের। তাঁরা গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু গাড়ির চালক কোনও সদুত্তর না দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানেরা এরপর গাড়িটিতে তল্লাশী শুরু করেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে গাড়ি থেকে কিছুই উদ্ধার হয় না।
অবশেষে গাড়ির ইঞ্জিনের ডিকিতে ভালোভাবে নজর দিতেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসে একের পর এক কাশির সিরাপ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় মোট ১৩৯ বোতল কাশির সিরাপ। এই পাচারের ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি সহ গাড়ির চালককে আটক করা হয়।
ধৃতকে এরপর বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, এদিন আরও একটি পৃথক অভিযানে হাকিমপুর এলাকা থেকেই বিএসএফ আরও ৪০০ বোতল কাশির সিরাপ উদ্ধার করে। এই সিরাপগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, নানা কৌশলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রতিনিয়ত সোনার বিস্কুট, সোনার বাট পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। মাঝেমধ্যেই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করছে বিএসএফ, কাস্টমস, পুলিশ। অন্যদিকে, ভারত থেকে কাশির সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চলছে বহুদিন ধরে।
বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষ এই কাশির সিরাপকে নেশার দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ফলে ভারতের এই কাশির সিরাপের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরাপথে নানা কৌশলে এই সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন