সমকালীন প্রতিবেদন : শীতকাল এমন একটি সময় যখন প্রকৃতিতে রোগের প্রকোপ বেড়ে ওঠে বেশ কয়েক গুণ। তবে সেই সময়তেই প্রকৃতি আমাদের উপহার দেয় সব থেকে উপকারী শাকসবজি এবং ফলমূলের।
কমলালেবু থেকে শুরু করে আমলকি, ব্রকলি থেকে গাজর কিম্বা বিন। উপকার নেই এমন সবজি খুঁজে বের করা অসম্ভব। তেমনি আজকে আমরা জানতে চলেছি আমাদের সকলের অন্যতম পছন্দের সবজি কড়াইশুঁটি সম্পর্কে।
শীতকালের শুরু থেকেই অন্যান্য সবজির মতোই বাজারে উপচে পড়ে কড়াইশুঁটিও। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শীতকালে কড়াইশুঁটি নাকি শরীরের জন্য অমৃতের সমান উপকারী। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় কড়াইশুঁটি অবশ্যই রাখতে বলছেন তাঁরা। আসুন জেনে নি কেন।
শীতকাল পড়লেই বাড়িতে বানানো শুরু হয়ে যায় মা ঠাকুমার হাতের কড়াইশুঁটির কচুরি বা মটর পনিরের মতো সুস্বাদু খাবার। তবে শুধু জিভের স্বাদের জন্যই নয়, কড়াইশুঁটি বা আমরা অনেকেই যাকে বলে থাকি মটরশুঁটি, তা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারীও বটে।
কড়াইশুঁটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে জিংক, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভৃতি। এছাড়াও আছে ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম নামে এক বিশেষ উপাদান, যা কিনা শরীরের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ হওয়া থেকে বাঁচায়।
এছাড়াও, কড়াইশুঁটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তবে এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। যার কারণে শরীরের ওজন বাড়ায় না একদমই। এই সকল কারণগুলির জন্যই কড়াইশুঁটিকে শীতের অমৃত বলা হয়ে থাকে।
জেনে নেওয়া যাক, খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কড়াইশুটি রাখলে তা আমাদের শরীরের পক্ষে কিভাবে উপকারী।
১| কড়াইশুঁটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার কারণে শীতকালে শরীর সুস্থ থাকে।
২| কড়াইশুটিতে উপস্থিত থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৩| প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখা কড়াইশুঁটি হজম শক্তি বাড়ায়।
৪| ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
৫| কড়াইশুঁটিতে যেহেতু ক্যালোরি অনেক কম, সেইজন্য তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এবাদেও কড়াইশুঁটির এতই উপকারিতা যে, তা মাত্র একটি প্রতিবেদনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই বাড়িতে সবজি রান্না করে হোক কিংবা স্যুপের আকারে। দিনের অন্তত একটি খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না কড়াইশুঁটিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন