সমকালীন প্রতিবেদন : হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগীর পরিজনদের বিশেষ করে দরিদ্র এবং মহিলা পরিজনদের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চালু করা হল মা ক্যান্টিন এবং আর্ত পরিজন নিবাস। বৃহস্পতিবার এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ।
বনগাঁর জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতালটিতে শুধু এই মহকুমা নয়, পাশের নদীয়া জেলার একাংশের রোগীরাও চিকিৎসা পরিষেবা পান। বাগদা, গাইঘাটা, গোপালনগর থানা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ভরসা এই হাসপাতাল।
এই হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিনত হওয়ার পর থেকে রোগী ভর্তির সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে দূরদূরান্ত থেকে যেসব রোগীরা এই হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের পরিজনেরা অনেকেই রাতে বাড়ি ফিরতে পারেন না।
আবার কখনও কখনও যেসব রোগীর শারীরিক অবস্থা তুলনায় খারাপ থাকে, তাদের পরিজনদের হাসপাতাল চত্বরে রাতে অপেক্ষা করার জন্য বলা হয়। এক্ষেত্রে রোগীর পরিজনেরা যদি মহিলা হন, তাহলে খোলা জায়গায় রাত কাটানো অনেকক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে।
এর পাশাপাশি, দূরদূরান্ত থেকে ভর্তি হওয়া রোগীর পরিজনদের খাওয়াদাওয়ার জন্য হাসপাতাল চত্বরে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে যারা দরিদ্র পরিজন। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ উদ্যোগগ্রহন করেছে বনগাঁ পুরসভা।
সুডার সহযোগিতায় বনগাঁ হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে একটি মা ক্যান্টিন এবং আর্ত পরিজন নিবাস। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্মদিন ছিল। আর এই দিনটিকে বেছে নিয়ে কেক কেটে এদিন এই দুই পরিষেবার উদ্বোধন করা হল।
বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, পুরসভার উদ্যোগে এর আগে বনগাঁ শহরে আরও একটি মা ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। সেটি সাফল্যের সঙ্গে চলছে। এর পাশাপাশি দরিদ্র রোগীর পরিজনদের কথা ভেবে বনগাঁ হাসপাতাল চত্বরে নতুন একটি মা ক্যান্টিন চালু করা হল।
একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগীর মহিলা পরিজনদের রাত্রিবাসের জন্য ২০ শয্যার একটি আর্ত পরিজন নিবাস চালু করা হয়েছে। রোগী ভর্তির নির্দিষ্ট নথি দেখিয়ে মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে এখানে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারবেন চিকিৎসাধিন রোগীর মহিলা পরিজনেরা।
গোটা ব্যবস্থাটাই পরিচালনা করবেন মহিলারা। নতুন এই পরিষেবায় খুশি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগীর পরিজনেরা। এদিনের অনুষ্ঠানে পুরপ্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুডার ডিরেক্টর সুপ্রিয় ঘোষাল, জয়েন ডিরেক্টর দীপাঞ্জন মুখার্জী, পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলর, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন