সমকালীন প্রতিবেদন : আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে যারা বিতারিত হয়ে ভারতে এসেছিল, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সিএএ এর নাম করে মতুয়াদের যে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা কেন্দ্র সরকার বলছে, তা আসলে একটা ভাওতা। শনিবার এমনই দাবি করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
গত ২৫ জানুয়ারি জেলা ডিওয়াইএফআই এর ডাকে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের নানা সমালোচনা করেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জী। শনিবার তারই পাল্টা সভা করলো তৃণমূল।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিবহনমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার সর্বোচ্চ প্রশাসনকে মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে মানুষ রাজ্য সরকারের কাছে অতি সহজে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। এমন ঘটনা পৃথিবীতে কোথাও হয় নি।
সভায় উপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী বলেন, সিপিএমকে মানুষ অচল পয়সার মতো বাতিল করে দিয়েছে। আর তাই ২০২১ সালে রাজ্যে তারা একটি আসনও পায় নি। তিনি অভিযোগ তোলেন, বিজেপি একটি মিথ্যাবাদীর দল। তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। রাতে টিভি খুললে বিরোধী দলনেতার শুধু ভাষণ শোনা যায়।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে পরিমানে কাজ করেছেন, তাতে তাঁকে ভারত রত্ন দেওয়া উচিৎ। বিশ্বজিৎ দাসের এই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল রায়, জেলা নেতা রতন ঘোষ, শঙ্কর আঢ্য সহ বনগাঁ, বাগদা এবং গাইঘাটা ব্লকের একাধিক নেতৃত্ব। এদিন সভা শেষ হবার আগেই অবশ্য সভার মাঠ ফাঁকা হতে শুরু করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন