সমকালীন প্রতিবেদন : সামান্য কারণে ট্রেনযাত্রা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিলো পুনের এক যুবক। প্রায় একই রকম কারণে দিল্লি বিমানবন্দরেও প্লেন ওঠানামা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, একই দিনে দিল্লি এয়ারপোর্ট এবং পুনে স্টেশনে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধেবেলা হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল পুণে জংশন স্টেশনেও। এমন বোমাতঙ্কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পুণে জংশন স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা।
সবকটি প্লাটফর্মে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি। কিন্তু হঠাৎ নিরাপত্তা আঁটসাঁট হল কেন? যেহেতু হুমকি ফোন এসেছিল। জানানো হয়েছিল, স্টেশনে বোমা রয়েছে।
তদন্তে নেমে পরে পুলিশ পাকড়াও করে এক যুবককে। ওই যুবকই পুনে স্টেশনে ফোন করে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ায় বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন এই কাজ করলো ওই যুবক? যুবকের উত্তরে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ।
ওই যুবক জানায় যে, একজন টিকিট পরীক্ষক অকারণে তাকে হেনস্থা করেছে।তারই বদলা নিতে যুবক কিছু করার প্লান করে। এর পরেই রাগে সে ঠিক করে যে, হুমকি ফোন করে রেল কর্তৃপক্ষকে হেনস্তা করবে। সেই মতো পুণে স্টেশনে ফোন করে বোমাতঙ্ক ছড়ায় সে।
এর পরেই জরুরি ভিত্তিতে সবকটি প্লাটফর্মে তল্লাশি শুরু হয়। যদিও বোমা উদ্ধার হয়নি। যুবকের এহেন কীর্তিকলাপে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। অনেকে মনে করেন, এটা এক ধরনের মানসিক রোগ।
অপরদিকে, একই দিনে ঘটে অন্য একটি ঘটনা। এই দিন রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে পুণেগামী স্পাইসজেটের একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও তল্লাশিতে কিছু মেলেনি।
ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক যুবককে। পুণেগামী স্পাইসজেটের একটি বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। এই ফোন পাওয়ার পরই বিমানবন্দরে তৎপরতা শুরু হয়। দ্রুত তল্লাশিও শুরু হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও বোমা মেলেনি।
পরে জানা যায়, আমির খান অভিনীত থ্রি-ইডিয়ট সিনেমার কায়দায় বান্ধবীদের সুবিধার জন্য বিমান যাতে আরও দেরিতে ওড়ে, সেই কারণে বোমাতঙ্কের পরিকল্পনা ফাঁদে তিন যুবক। একজন গ্রেপ্তার হলেও বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন