Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

শীতের ব্যথা দূর করতে ঘরোয়া উপায়

 

To-relieve-the-pain-of-winter

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌সাধারণত শীতকালে বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যায় বেশ কয়েকগুণ। তারমধ্যে অন্যতম হাঁটু এবং কোমরের ব্যথা। শীতকাল মানেই হাঁটু ও কোমরে প্রবল ব্যথার মতো কষ্টকর সময় শুরু। এই সময় খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েন বাতের ব্যথা ও আর্থারাইটিসের রোগীরা। 

তাহলে কি করনীয়? কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে এই ব্যথা বেদনা থেকে? কোনও চিন্তা করতে হবে না। এই সকল সমস্যার হাত থেকে আপনারা রক্ষা পেতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকা ও নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের মাংসপেশি ও হাড়ের ব্যথা কমাতে বেশি করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ডি এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় কম, তাদের এই সমস্যায় বেশি কষ্ট হয়। তবে অনেকেই আছেন, যারা শুধুমাত্র পেইনকিলার এর উপরে ভরসা করে চলতে চান। 

সেক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, পেইনকিলার কখনোই কোনও ব্যথার সম্পূর্ণ নিরাময় করে না। শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য ব্যথার অনুভূতিকে ঢেকে দেয়। এমনকি অত্যন্ত ঘন ঘন পেইনকিলার সেবনে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। 


সেই জন্যই ঘরোয়া টোটকাই হল এক্ষেত্রে সবথেকে উপকারী ও সম্পূর্ণ নিরাপদ উপায়। তাই জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে রোজকার ডায়েট চার্টে ও শরীর চর্চায় কি কি রাখবেন।

১| সকালে উঠে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক থেকে দুই চামচ মধু ও অল্প পরিমাণে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। এর ফলে যেমন পেট পরিষ্কার হবে, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং গ্যাসের সমস্যাও চলে যাবে। সেই সঙ্গে লেবুতে ভিটামিন সি থাকায় গা, হাত-পায়ে ব্যথাও কমবে।

২| প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখবেন। যেমন, দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার, যার মধ্যে পড়ে দই, পনির, ছানা ইত্যাদি।

৩| রোজ সকালে উঠে যে কোনও প্রকারের বাদাম খান কয়েকটা। এতে শরীরে শক্তি বাড়বে এবং তরতাজা অনুভূতি হবে। এবাদেও খাবারের পাতে ছোট মাছ ও ডিম রাখুন।

৪| সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খেতে কেই না ভালবাসে। সেই সকালের চায়ের অভ্যাসে যুক্ত করে নিন গ্রিন-টি কে। অল্প কয়েকটা তুলসী পাতা দিয়ে গ্রিন টি শরীরকে ডিটক্সিফাইড করতে সাহায্য করে।

৫| শীতকালীন সবরকম শাকসব্জি ও ফলমূলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ডি। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি। এইজন্যই ব্রকলি, গাজর, বিন, পেঁয়াজকলি, ফুলকপি, কমলালেবু, পেয়ারা, আমলকি জাতীয় সবজি এবং ফলগুলোকে নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জুড়ে নিন।

৬| শরীরে বিভিন্ন ইনফেকশন কমাতে রোজ এক কোয়া করে আস্ত রসুন খেয়ে নিন জল দিয়ে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা দূর করতে আদা দিয়ে লাল চা খেতে পারেন বা শুধু আদাকেও ছোট ছোট টুকরো করে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে রস খেতে পারেন, তাতেও ভালো কাজ হয়।

খাদ্য তালিকায় এই সমস্ত খাবার রাখার পরেও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তা কিন্তু যথেষ্ট নয়। শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, বরং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চারও প্রয়োজন। তাই নিয়মিত অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট হাঁটুন এবং সেই সঙ্গে প্রাণায়াম বা যোগাসন করুন। এর ফলে যেমন শরীর মজবুত হবে, তেমনই স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে।

নিয়মিত এইরকম উপকারী ঘরোয়া টোটকাগুলি নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারলে ছোটখাটো বিষয়ে আর প্রয়োজন পড়বে না কোন ডাক্তারের। নিজেরাই করতে পারবেন নিজেদের চিকিৎসা।




‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন