সমকালীন প্রতিবেদন : ২০২২ কে বিদায় জানিয়ে ২০২৩ এর নতুন সূর্যোদয়। আর বছরের প্রথম দিনেই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। কলকাতার নানা জায়গার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এদিন ভোর থেকেই মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা গেল।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টাকি। এখানকার ইছামতী নদীতে সূর্যোদয় দেখতে এদিন সকাল থেকে টাকির ইছামতী নদীর ঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকেরা। নতুন বছরের প্রথম দিনের সূর্যোদয়ের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গেল পর্যটকদের।
কুয়াশায় ভরা ভোরের ইছামতী নদীতে তখন হাজির বিভিন্ন সাজে সজ্জিত নৌকা। আর সেই নৌকায় চেপে ইছামতী নদীবক্ষে ভ্রমণ করলেন পর্যটকেরা। ভোরের লাল টকটকে সূর্যের আলো যখন ইছামতী নদীর জলে এসে পরছে, তখন সেই দৃশ্য এক অন্য মাত্রা তৈরি করছিল।
এই জেলার হালিশহরে রয়েছে সাধক রামপ্রসাদ স্মৃতি মন্দির। রয়েছে মাকালীর মন্দিরও। ব্যবসার উন্নতিতে কিম্বা গোটা বছর ভালোভাবে কাটার প্রার্থনা নিয়ে পুজোর ডালা হাতে মন্দির প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছিলেন ভক্তরা। সুশৃঙ্খলভাবে লাইন দিয়ে বছরের প্রথম দিন পুজো দিলেন তাঁরা।
করোনার অতিমারি কাটিয়ে এবারে নতুন বছরের প্রথমদিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা করেছিল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। ফলে এদিন ভোর থেকে বেলুড় মঠে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। বেলা যত গড়িয়েছে, ভিড়ের পরিমানও বেড়েছে।
এদিন সকল ভক্তদের জন্য খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এদিন বেলুড় মঠে লক্ষাধিক ভক্তের আগমণ ঘটেছিল বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে ইংরাজি নববর্ষের প্রথম দিন নির্বিঘ্নেই কাটলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন