সমকালীন প্রতিবেদন : ফুলের মান, বাজারের নিরাপত্তা সহ নানা কারণেই উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর পাইকারি ফুলবাজার রাজ্যের মধ্যে অন্যতম। এমনই দাবি ঠাকুরনগর ফুলবাজার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের।
বনগাঁ মহকুমার বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটা এলাকার ফুলচাষিদের পাশাপাশি নদীয়া জেলার ফুলচাষিরাও এই পাইকারি ফুলবাজারে তাঁদের উৎপাদিত ফুল বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন। ফুলচাষিদের বিশ্বাস, এই বাজারে ফুল বিক্রি করতে এলে ন্যায্য দাম এবং সুরক্ষা মিলবে।
ফুলবাজার কমিটির সম্পাদক শিশির বিশ্বাস জানান, বনগাঁ মহকুমা এলাকার ফুলচাষিদের উৎপাদিত ফুলের কোয়ালিটি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম। এখানকার উৎপাদিত ফুল ৫ থেকে ৭ দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। আর তাই এখানকার ফুলের চাহিদাও পাইকারি বাজারে বেশি।
বাজার কমিটির দাবি, রাজ্যের হাওড়া, কোলাঘাটের থেকে গুণমানের দিক থেকে এখানকার ফুল অনেক বেশি ভালো। আর তাই এখানকার ফুল দিল্লি, মুম্বই, পাটনা, নাগপুরের মতো ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অনলাইনে পেমেন্টের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সর্বোপরি গোটা বাজার এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বাজার কমিটির সহ সম্পাদক দিলীপ গয়ালি জানালেন, এই বাজারেই মেলে বেষ্ট কোয়ালিটির গোলাপ, রজনীগন্ধা, নানা জাতের গাঁদা ফুল। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গোলাপ ফুলের ৮০ শতাংশ এই পাইকারি বাজারের মাধ্যমে বাইরের রাজ্যে রপ্তানী হয়।
অন্যান্য বাজারের মতো এই বাজারে বহিরাগতদের দাদাগিরি না থাকায় স্বস্তিতে ব্যবসা করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। আর এইরকম পরিবেশে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে এই বাজারে আরও বেশি করে ফুল ব্যবসায়ীদের আসার আবেদন জানাচ্ছে ফুল বাজার কমিটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন