সমকালীন প্রতিবেদন : কোলকাতাকে অনেক আগেই বলা হয়েছিল 'মিছিলের নগরী'। সেই কোলকাতার মিছিল থেকেই পালাতে গিয়ে কয়েকশো চটি এবং জুতো ফেলে গেলেন মিছিলের দর্শক-শ্রোতারা। শনিবার বিকেলে ধর্মতলায় পুলিশের তাড়া খেয়ে পড়ি কি মরি করে ছুট দেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা।
ফেলে যান জুতো জোড়া। এক পাটি নয়, ফেলে যান দু’পায়ের জুতোই। আর কথায় আছে না, 'কারো পোষ মাস তো কারও সর্বনাশ'। আইএসএফ কর্মীদের ফেলে যাওয়া জুতোয় দিব্যি পা গলালেন অফিস ফেরত বহু কেরানি থেকে বাবু।
এমনকী, দূরপাল্লার বাস ধরতে ধর্মতলায় আসা পর্যটকরাও বাদ পড়লেন না এই তালিকা থেকে। দিব্যি নিজের পছন্দ মতো এবং মাপ মতো চটিতে পা গলিয়ে চলে গেলেন বাস ধরতে।
গতকাল দেখা যায়, নিজেদের জুতোর উপর বসে ওঁরা নওয়াজ সিদ্দিকীর গরম বক্তব্য শুনছিল। তখনই বাধে গন্ডগোল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান তাঁরা। শেষে তাড়া খেয়ে রণে ভঙ্গ দেন নওয়াজ সিদ্দিকীর দলের ছেলেরা।
তাই তাঁদের অনেকেরই দু’পাটি জুতোই পড়েছিল পাশাপাশি। এইরকম এক-আধটা নয়, শ’য়ে-শ’য়ে জুতো পড়েছিল ধর্মতলায়। যার মধ্যে দামি জুতোও ছিল বেশ কিছু।
ফলে পথচলতি অনেকেই মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে একেবারে পায়ে ‘ফিট’ করে কি না, তা পরখ করতে দাঁড়িয়ে পড়েন। ফিট করে গেলেই কেল্লাফতে। জানিনা এটা কোলকাতার পক্ষে কতটা সম্মানের হলো।
ঠিক হোক বা বেঠিক- আমাদেরই কিছু সহ নাগরিক যখন উদভ্রান্ত, পলাতক তখন তাঁদের জুতো নিজের পায়ে গলাতে গিয়ে কি একবারও বিবেক দংশন হলো না? এই চিত্র কোলকাতার জন্য একেবারেই অন্যরকম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন