সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলে নিয়োগে অনিয়মের মামলায় ফের নাড়াচাড়া পড়লো উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার চন্দন মন্ডলকে নিয়ে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে এবারে চন্দন মন্ডলের বাগদার বাড়িতে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হল। যদিও এই নোটিশ টাঙানোর পর থেকে সপরিবারে বাড়িছাড়া চন্দন মন্ডল।
রাজ্যের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাঁকা পথে সিদ্ধহস্ত এই চন্দন মন্ডল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরেই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছিল।
অভিযোগ, এই চন্দন মন্ডলের হাত ধরে শুধু বাগদা নয়, উত্তর ২৪ পরগনার সহ অন্যান্য জেলার বহু চাকরিপ্রার্থী লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছে।
হাইকোর্টে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হওয়ার পর বাগদা বিধানসভা এলাকার একসময়কার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করা একটি ভিডিওতে বাগদার 'রঞ্জন' নামের একটি চরিত্রকে তুলে ধরা হয়।
পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসে যে, এই রঞ্জন আসলে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মন্ডল। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিচারকের নির্দেশে হাইকোর্টে হাজিরা দেন চন্দন মন্ডল।
তদন্তের স্বার্থে সিবিআই এবং ইডির অফিসারেরা একাধিকবার চন্দন মন্ডনের বাগদার বাড়িতে এসে তল্লাসী চালান। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর বেশ কিছুদিন এব্যাপারে কোনও সাড়াশব্দ মেলে নি। অবশেষে গত ২৭ ডিসেম্বর ইডির পক্ষ থেকে চন্দন মন্ডলের বাড়িতে একটি নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যে চন্দন মন্ডলকে বিভিন্ন নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে দেখা করতে হবে।
ওই নোটিশে চন্দন ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দেখতে চেয়েছে ইডি। এই নোটিশ টাঙানোর পর চন্দন মন্ডল ইডির দপ্তরে দেখা করেছিলেন কি না, সেটি জানা যায় নি।
তবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই নোটিশ টাঙানোর পর থেকে তালাবন্ধ চন্দন মন্ডলের বাড়ির সদর দরজা। বাড়ির কোনও সদস্য আপাতত এই বাড়িতে নেই।
বেশ কিছুদিন বিরতির পর নতুন করে চন্দন মন্ডলকে নিয়ে নাড়াচাড়া পরায় তার হাত দিয়ে স্কুলের চাকরিতে নিয়োগপত্র পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা ফের চিন্তায় পরে গেছেন। এখন চন্দন মন্ডল এবং তার হাত ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের ভবিষ্যৎ কি হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন অনেকেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন