সৌদীপ ভট্টাচার্য : একের পর এক সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমান কম। আর তা দেখে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারীকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি আটক করল গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারীকে।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর এলাকায় ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্তার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করছিলেন এক ব্যক্তি। মাধব দাস নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে সিলিন্ডার দিতে গেলে তাঁর সন্দেহ হয়।
এরপর তিনি সিলিন্ডারটি ওজন করতে বলেন। আর তখনই ধরা পরে আসল ঘটনা। দেখা যায়, সিলিন্ডারটিতে ২ কেজি গ্যাস কম রয়েছে। শুধু ওই সিলিন্ডারই নয়, আরও কয়েকটি সিলিন্ডার ওজন করে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটিতে ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কিলোগ্রাম পর্যন্ত গ্যাস কম রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ওই কর্মীকে আটকে রেখে বারাসত থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের সামনে ফের সিলিন্ডার মেপে দেখানো হয়। সেখানেও গ্যাস কম থাকার প্রমান মেলে।
এরপর পুলিশ ওই কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদী গ্রাহক মাধব দাস জানান, 'গ্যাস সংস্থার ওই কর্মী সিলিন্ডার পাল্টে অন্য সিলিন্ডার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তা নিতে রাজি হই নি। কারণ, আমার মনে হয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই সিলিন্ডার অন্য বাড়িতে দিয়ে দেবে। সেই ব্যক্তি অজান্তেই ঠকে যাবেন।'
এব্যাপারে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটার সংস্থার বক্তব্য, সিলিন্ডার সরবরাহকারী ওই ব্যক্তির কোনও দোষ নেই। তবে গোডাউন থেকে সিলিন্ডার নেওয়ার সময় তাকে প্রতিটি সিলিন্ডার ওজন করে দেখে নেওয়া উচিৎ ছিল।
তবে গ্রাহকদের প্রশ্ন, একটি দুটি নয়, প্রায় প্রতিটি সিলিন্ডারে কি করে গ্যাসের পরিমান কম হয় ? গ্রাহকদের বক্তব্য, বর্তমানে একটি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম পরছে প্রায় ১১০০ টাকা। ফলে সেখানে এতোটা করে গ্যাস কম থাকলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন