সমকালীন প্রতিবেদন : শৌচাগার তৈরি হয়ে পরে রয়েছে বহু দিন। শুধুমাত্র বিদ্যুতের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় 'দিদির দূত' হিসেবে বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এলাকায় যেতেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেন ব্যবসায়ীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে 'দিদির রক্ষা কবচ' এবং 'দিদির দূত' কর্মসূচি। গত ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বিভিন্নরকম অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের।
সোমবার নিজের বিধানসভা এলাকার অর্ন্তগত বাগদার আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোব গ্রামে গিয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। সঙ্গে ছিলেন দলের স্থানীয় নেতারাও। এখানেও কিছুটা বিড়ম্বনায় পরতে হল বিধায়ককে।
এদিন গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকতেই কয়েকজন স্থানীয় মহিলা বিধায়কের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পরেন। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের এলাকার কাঁচা রাস্তাটি পাকা করে দিতে হবে। কারণ, প্রতি বর্ষাতেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পরে।
এব্যাপারে বিধায়ক ওই মহিলাদের বক্তব্য শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে বিধায়ক জানান, রাস্তাটি কেন এতোদিন পাকা হয় নি, দ্রুততার সঙ্গে যাতে রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্তা করা হয়, তারজন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এদিন বিধায়কের কাছে দাবি করা হয়, এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে অনেকদিন আগেই একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে সেটি আজও চালু করা সম্ভব হয় নি।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন বিধায়ক। ব্যবসায়ীরা এলাকার একটি নিকাশী নালার সমস্যার কথাও তুলে ধরলে সেটি সংস্কার করার আশ্বাস দেন বিধায়ক।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে এদিন দুপুরে এলাকার এক গ্রামবাসীর বাড়িতে দলের সহকর্মীদের নিয়ে পাতপেড়ে ডিমের ঝোল, ভাত খান বিধায়ক। এলাকার একটি স্কুল পরিদর্শনেও যান তিনি। এদিন সকালে এলাকার একটি দুর্গামন্দিরে পুজো দিয়ে এদিনের কর্মসূচি শুরু করেন বিশ্বজিৎ দাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন