সমকালীন প্রতিবেদন : এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে কালিদাসের শকুন্তলার কাহিনিকে। শকুন্তলাকে রাজা দুষ্মন্তের দেওযা আঙটি একটি বোয়াল মাছের পেট থেকে পেয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। আর এবারের এই ঘটনায় ভোলা মাঝের পেট থেকে মিললো সোনার নাকছাবি।
আসানসোলের সীমান্তপল্লীর বাসিন্দা, চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় আর পাঁচটা দিনের মতো স্থানীয় বাজার থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি ভোলা মাছ কিনে আনেন। বাড়িতে আনার পর সেই মাছ কেটে সরষে দিয়ে জমিয়া রান্নাও করা হয়।
দুপুরে সেই মাছ কামড় দিতেই শক্ত কিছু একটা দাঁতে বেধে যায়। কৃষ্ণেন্দুবাবু প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো কাঁকড় হবে। এরপর সেই কাঁকড় বাছতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। কাঁকড়ের খোঁজে মাছ বাছতে গিয়ে, তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে সোনার একটি আস্ত নাকছাবি।
মাছের পেট থেকে এমন সোনার গয়না পাওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পরে এলাকায়। আর তারপর সেই গয়না দেখতে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। এব্যাপারে কৃষ্ণেন্দুবাবু জানালেন, 'মাছের পেট থেকে সোনার আঙটি পাওয়ার কাহিনী বইতে পরেছি। কিন্তু নিজের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারি নি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন