সমকালীন প্রতিবেদন : প্রবল তুষারপাতের পর উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী ধাম সাদা রঙে ঢেকে গিয়েছে। যে ধামে কয়েকমাস আগেই যেখানে বহু তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়েছিল, গঙ্গোত্রী ধামের সেই এলাকাই এখন পুরু বরফের চাদরে ঢাকা।
এক মন্দির থেকে আর এক মন্দির চত্ত্বরে যেভাবে বরফ পড়েছে, তাতে অপরূপ দৃশ্য বললেও কম বলা হবে। বর্তমানে সেখানে তাপমাত্রা রয়েছে মাইনাস ৩ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেই জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের সোনামার্গের জনপ্রিয় হিল স্টেশনে তুষারপাতের খবর মিলেছে। যার একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। মধ্য কাশ্মীরের গান্দেরওয়াল জেলায় অবস্থিত সোনামার্গের বালতাল এলাকার কাছে তুষারপাতের একাধিক ছবি সামনে এসেছে।
তুষারপাত দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তবে অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে সাধারন মানুষ যেতে পারেন না। কিন্তু তাতে কি। সেই সমস্ত জায়গার যে সমস্ত ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তা সত্যিই এক মুহূর্তে যেকোনও মানুষের মন ভালো করে দেবে।
উপত্যকার উঁচু অঞ্চলে তুষারপাতের ফলে পাহেলগাও এবং গুলমার্গ ব্যতীত কাশ্মীর জুড়ে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গিয়েছে। অনন্তনাগ জেলার পহেলগাও পর্যটন কেন্দ্রিক শহর, যা বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার জন্য একটি বেস ক্যাম্প হিসাবেও কাজ করে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বারামুল্লা জেলার গুলমার্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞের একটি টুইট অনুসারে, ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বরফ পড়বে এবং তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হবে। ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারী পর্যন্ত সময়ে আবহাওয়া সর্বোচ্চ ঠাণ্ডা হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন