সমসাকীন প্রতিবেদন : বড়দের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয়। কিন্তু ছোটদেরও যে সেই সমস্যা হতে পারে, তা অনেক অভিভাবকই বুঝে উঠতে পারেন না। আর যথন বুঝতে পারেন, তখন অনেকক্ষেত্রে তা বড্ড দেরি হয়ে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা পরে যায় ছোটরা।
এই ধরনের সমস্যা থেকে যাতে প্রথমেই সচেতন হওয়া যায়, তারজন্য বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহন করল টাইটান আই প্লাস। সংস্থার বনগাঁ শাখার পক্ষ থেকে বনগাঁ এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বনগাঁর রাখালদাস হাইস্কুলে এমনই একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রথম দুদিন পঞ্চম থেকে অষ্টমশ্রেণীর ছাত্রদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়।
সেখানে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ছাত্রের দৃষ্টির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আগামীদিনে তারা যাতে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারে, তার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার চক্ষু বিশেষজ্ঞ তানিয়া দেবনাথ জানালেন, রোখের বিষয়ে বড়রা সচেতন হলেও সচেতনতার অভাবে ছোটদের সমস্যা প্রথম পর্যায়ে ধরা পরে না।
পরবর্তীদে সমস্যা যথন গভীর হয়, তখন অনেকক্ষেত্রে ভিসনের বড় সমস্যা দেখা দেয়। অভিভাবকদের সচেতন করতেই সংস্থার পক্ষ থেকে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
সংস্থার আর এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ঋতম প্রামানিক জানান, ২৩ বছর পর্যন্ত আই বলের গঠন তৈরি হয়। ততদিনে যদি চোখের যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে হাই পাওয়ার সহ চোখের অন্যান্য সমস্যা চলে আসতে পারে। সেব্যাপারে সচেতন করতেই সংস্থার পক্ষ থেকে স্কুল, কলেজ পর্যায়ে এই ধরনের চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।
পড়ুয়া ছাড়াও এই শিবিরে স্কুল, কলেজের শিক্ষকদেরও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন