সমকালীন প্রতিবেদন : সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে ফের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। মৃত মৎস্যজীবীর নাম বাসুদেব বৈদ্য (৩২)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আয়লা, আমপানের মতো প্রাকৃতির দূর্যোগে প্রায় প্রতিবছরই চাষের জমির ক্ষতি হচ্ছে। হয় ঝড়ের দাপটে, না হয় সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বার বার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হন এলাকার কৃষকেরা। ফলে চাষের কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন তাঁরা।
এই অবস্থায় বিকল্প উপার্জনের সুন্দরবনের নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা থাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। অথচ সেখানেও পদে পদে বিপদ। যখন তখন বাঘের হানার মুখে পরতে হয় মৎস্যজীবীদের। তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে সেই বিপদকে সঙ্গে করেই মাছ ধরতে যান এলাকার মানুষ।
এভাবেই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে কুলতলির নাইয়া পাড়া থেকে নৌকা করে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাসুদেব। আর সেকানে যে এমন বিপদ লুকিয়ে ছিল তা টের পান নি তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা।
তাঁর সঙ্গে থাকা আর এক মৎস্যজীবী বিপ্লব নাইয়া জানান, সেদিন সোমবার। মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নৌকার মাথার দিকে বসেছিলেন বাসুদেব। নৌকা তখন মেছুয়ার জঙ্গলের ধার ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই একটি বাঘ নৌকার উপর ঝাপিয়ে পরে।
কিছু বুঝে ওঠার আগে বাঘটি বাসুদেবের মাথার পেছন দিকে কামড়ে ধরে। এরপর বাঘটি বাসুদেরকে মুখে করে বেশ কিছুটা নিয়ে যায়। বাসুদেবকে উদ্ধার করতে লাঠি নিয়ে বাঘের পিছু ধাওয়া করেন নৌকার বাকি সঙ্গীরা। কিছুটা দূরে গিয়ে বাঘ বাসুদেবকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বাসুদেবের দেহ উদ্ধার হলেও বাঘের আক্রমনে ততক্ষণে প্রাণ চলে গেছে বাসুদেবের। সোমবার বিকেলে বাড়িতে ফোন করে এই মর্মান্তিক খবর জানান বাসুদেবের সঙ্গীরা। এরপরই বাসুদেবের দেহ আনতে গ্রাম থেকে মেশিন বোট পাঠানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন