Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩

অকাল বিশ্বকর্মা পুজো শ্রীপঞ্চমী তিথিতে

 ‌

Akal-Vishwakarma-Puja

শম্পা গুপ্ত : ‌সাধারণত দুর্গাপুজোর আগেআগেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে। কিন্তু এই সময় বাদেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন হয়, যাকে অকাল বিশ্বকর্মা পুজো বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমনই অকাল বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে পুরুলিয়ায়।

শ্রী পঞ্চমী তিথিতে এই অকাল বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতে উঠলো পুরুলিয়ার সুত্রধর সমাজ। শুধু পুরুলিয়া শহর নয়, পাশাপাশি ঝালদাতেও শতবর্ষ ধরে এই পুজোর প্রচলন হয়ে আসছে। সব থেকে জাঁকজমক করে পুজো হয়ে থাকে পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায়। টানা চারদিনের এই পুজোর আয়োজন হয় শ্রী পঞ্চমী তিথি থেকে।    

শোনা যায়, ১৪০ বছরেরও বেশি আগে এই পুজোর সূচনা করে এখানকার সুত্রধর সমাজ। আজও তারা সেই পুরনো রীতি পালন করে তারা পুজোর আয়োজন করে আসছেন। দেব কারিগরের এই অকাল আরাধনা প্রসঙ্গে একটা বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে নামোপাড়ায়। 

সূত্রধর সমাজের প্রবীণেরা জানালেন, পুরুষানুক্রমে মূর্তি গড়াই তাদের কাজ। তাদের ইষ্ট দেবতা হলেন বিশ্বকর্মা। তার পুজো হয় ভাদ্রমাসের শেষে। বিশ্বকর্মার পুজো চলার সময় নিজেদের যন্ত্রপাতিকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দেন তারা। কিন্তু সেই সময় চলে আসে বাঙালীর সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। 

সেইসময় দশভুজার মূর্তি নির্মাণ করার জন্য প্রচণ্ড ব্যস্ত হয়ে যান সুত্রধররা। স্বাভাবিকভাবেই যন্ত্রপাতিগুলিকে বসিয়ে রাখা এই সময় অসম্ভব। ফলে বাধ্য হয়ে তাই সেইসময় সেই সময় ছোট করে বিশ্বকর্মার পুজোর আয়োজন করতে হয় তাদের। 

তবে এই ভাবেপুজো করাটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি তাদের পূর্ব পুরুষরা। তারাই একদিন মিলিতভাবে ঠিক করেন, অন্ত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে করতে হবে দেব কারিগরের আরাধনা। সেই মতো ঠিক হয়, শ্রীপঞ্চমী তিথিতে চারদিন ধরে হবে এই পুজো। 

আর তারপর থেকেই এই বিশ্বকর্মা পুজোয় চারদিন নিজেদের কাজ বন্ধ রাখেন সুত্রধর সমাজ। পুরুলিয়া শহরের ছুতোরপাড়ায় কাঠের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন বেশিরভাগ পরিবার। অকাল বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এই চারদিন উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন