সমকালীন প্রতিবেদন : সম্প্রতি বনগাঁর গাঁড়াপোতা বর্ণপরিচয় অডিটোরিয়ামে 'আরেক থিয়েটার' এর উদ্যোগে তিনদিনের নাট্যমেলার আয়োজন করা হয়। চতুর্থ বর্ষ এই নাট্যমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নাট্যদলগুলি তাদের নিজেদের প্রযোজিত চারটি নাটক নাট্য মেলায় উপস্থাপন করে।
মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটককে সামনে রেখে এবারে মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিল। প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল একটু অন্যরকম। দলের সদস্য-সদস্যারাই কিছু সংলাপ এবং গানের মাধ্যমে নাট্যমেলার সূচনা করেন।
প্রথম দিনের তিনটি নাটকের মধ্যে উদ্যোক্তা সংস্থার নিজস্ব দুটি নাটক ছিল। একটি ছোটদের 'সিদ্ধিদাতা' এবং অন্যটি 'মন মালতি'। সিদ্ধিদাতা ছোটদের নাটক হলেও পরিণত অভিনয়ের ছাপ রেখে যায়। সিদ্ধিদাতা পরিচালনা করে সুবান্ত শর্মা এবং মনমালতির পরিচালনা এবং একক অভিনয়ে ছিল রুপালি বিশ্বাস।
প্রথম দিন আরও ছিল মুকাভিনয়ের অনুষ্ঠান। যেটির পরিচালক ধিরাজ হাওলাদার। দ্বিতীয় দিনের প্রথম নাটক ছিল 'চোলি কে পিছে'। নির্দেশনা দেবজ্যোতি ঘোষ। দ্বিতীয় নাটক চাকদহ কলাকেন্দ্রের 'তোমার তটরেখা থেকে'। নির্দেশনা শ্যামল মজুমদার।
দ্বিতীয় দিনের শেষ নাটক গোবরাপুর আরেক থিয়েটারের 'অলাতচক্র'। নির্দেশনা সুকান্ত শর্মা। তৃতীয় দিনের প্রথম নাটক কলকাতা স্বতন্ত্রের 'জননী'। নির্দেশনা সায়ন চক্রবর্তী। দ্বিতীয় নাটক গোবরডাঙ্গা নকশার 'হুলো'. নির্দেশনা আশিস দাস।
তৃতীয় নাটক গোবরাপুর আরেক থিয়েটারের 'শব্দটি অভিধানে নেই'। নির্দেশনা সুকান্ত শর্মা। এখনকার সময় দাঁড়িয়ে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। নাটকের মঞ্চ ভাবনা, আবহ এবং আলোর ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। নাটকের ভাবনা ছিল মৌলিক এবং আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
এই নাট্য উৎসবের তিনদিনই মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের পক্ষে সুকান্ত শর্মা জানান, 'আমাদের লক্ষ্য মানুষকে নাট্যমুখী করা। যুব সমাজকে মোবাইল থেকে দূরে রেখে নাট্যমুখী করাটা খুব প্রয়োজন।' নাট্যমেলা উপলক্ষ্যে দলের সদস্য–সদস্যরা নিজেদের শিল্পকলাকে বিভিন্ন রূপে উপস্থাপন করে নাট্যমেলা প্রাঙ্গনটিতে নান্দনিক রূপ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন