সমকালীন প্রতিবেদন : আবারও বড় ধরনের সাফল্য পেল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এবারে আগরতলা–কলকাতা আর্ন্তজাতিক বাস রুটের ভেতর থেকে উদ্ধার হল প্রায় ২ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাসের দুই কর্মীকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পেট্রাপোল সীমান্তে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অর্ন্তগত পেট্রাপোল সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কাছে বিশেষ সূত্রে খবর আসে যে, আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে যে বাসটি কলকাতায় যাচ্ছে, সেই বাসে প্রচুর সোনার বিস্কুট পাচার করা হচ্ছে।
এই খবরের ভিত্তিতে তৎপর হয়ে পরে বিএসএফ। বিএসএফের পেট্রাপোল ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারের নেতৃত্বে এরপর একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। শনিবার সকাল পৌনে ৮ টা নাগাদ ওই বাসটি পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছাতেই তাকে ঘিরে ফেলেন বিএসএফ জওয়ানেরা।
এরপর বাসটিকে ইমিগ্রেশন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বাসের ভেতরে চিরুনি তল্লাসী চালানো হয়। আর তারপরই বাসের লাগেজ বগির ভেতর থেকে ৩০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মোট ওজন প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম। দাম প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা।
এর পাশাপাশি, সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাসের চালক মহম্মদ ফারহাদ এবং সহকারী চালক মহম্মদ উমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি সহ পরে ধৃতদের পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গেছে, ধৃত বাসের চালক এবং সহকারী চালকের বাড়ি বাংলাদেশে। তারা এর আগেও এভাবে অর্থের লোভে আর্ন্তজাতিক রুটের বাসে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচার করেছে।
জেরায় ধৃতরা বিএসএফকে জানিয়েছে, এদিন মহম্মদ কামাল নামে ঢাকার এক সোনা পাচারকারী তাদেরকে এই সোনার বিস্কুটগুলি দিয়ে সেগুলি কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় মহম্মদ জামালের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। এর জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল।
এই টাকার লোভেই তারা এই কাজ করেছিল বলে তারা জেরায় জানিয়েছে। এর আগে একাধিকবার এই কাজ করে ধরা না পরায়, তাদের সাহস এবং লোভ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবারে বিএসএফের হাতে ধরা পরে গেল তারা।
এব্যাপারে বিএসএফের ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় সোনা সহ অন্যান্য সামগ্রীর চোরাকারবার বন্ধ করতে সদা তৎপর রয়েছেন বিএসএফ জওয়ানেরা। আর তার কারণে প্রায়ই এভাবে উদ্ধার হচ্ছে সোনার বিস্কুট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন