সৌদীপ ভট্টাচার্য : সংস্কারের প্রয়োজনে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের উড়ালপুলের উপর দিয়ে এক মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এই সময়কালে এই উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলিকে বিকল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
বারাসত শহরের যানজট কমাতে বাম আমলে কলোনি মোড় থেকে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত ১১ নম্বর রেলগেটের উপর দিয়ে ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী একটি উড়ালপুলটি তৈরি করা হয়।
বর্তমানে সেই উড়ালপুলের বেশ কিছু বিয়ারিং এবং গার্ডার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সেগুলির বদল এবং উড়ালপুল সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পরেছে। সম্প্রতি এব্যাপারে সরকার স্বীকৃত একটি সংস্থা জেলা প্রশাসনকে একটি রিপোর্ট দিয়েছে।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে উড়ালপুল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তর। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই উড়ালপুল দিয়ে ৩ টি রুটের বাস, বহু রুটের অটো, টোটো সহ অন্যান্য যানবাহন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এক মাস ধরে এই উড়ালপুল দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার প্রয়োজন পরায়, সেই যানবাহনগুলিকে বিকল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বারাসতের চাঁপাডালি বাসস্ট্যান্ড থেকে নৈহাটি, জাগুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাতায়াতকারী ৮৫ এবং ৮৭ নম্বর রুটের বাসগুলি আগামী এক মাস ময়নায় পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে থেকে ছাড়বে। সেখানে দুটি করে বাস দাঁড়াবে।
অন্যদিকে, ব্যারাকপুরগামী ৮১ নম্বর রুটের দুটি করে বাস দমকল বিভাগের অফিসের সামনে থেকে ছাড়বে। আর অটোরিক্সাগুলিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে শহরে ঢোকার আগেই অন্য পথে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উড়ালপুলের ২৩৬টি বিয়ারিং নষ্ট হয়ে গেছে বলে রিপোর্ট এসেছে। অবিলম্বে এই বিয়ারিং পরিবর্তন না করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এরপরই পূর্ত দপ্তর উড়ালপুল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগেই এক মাস হাতে সময় নিয়ে এই সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয় নি বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন