সমকালীন প্রতিবেদন : স্বামীর খোঁজ দেওয়ার নাম করে বধূর উপর দিনের পর দিন শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠলো এক ভন্ড সাধু এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যা করলেন ওই বধূ। বনগাঁ থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ থানার কালুপুর এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রা সরকার নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁর ৫ বছরের সন্তান রয়েছে। বছর তিনেক আগে তাঁর স্বামী আন্দামানে কাজের যাওয়ার নাম করে আর বাড়ি ফেরেন নি।
নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে এরপর গৃহবধূ ইন্দ্রা সরকার সুকুমার দাস নামে এক ভন্ড সাধুর পাল্লায় পরেন। এই প্রতারক এরপর বধূর স্বামীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই বধূকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর থেকে একাধিকদিন ওই ভন্ড সাধু এবং সাগরেদরা ওই বধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে।
এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে বধূর স্বামী এবং সন্তানকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় এই প্রতারক এবং তার সঙ্গীরা। ফলে ভয়ে এতোদিন তিনি কাউকে কিছু জানাতে পারেন নি। অবশেষে সমস্ত ধৈর্যের বাধ ভেঙে যায়।
প্রতারকদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে সমস্ত ঘটনার কথা লিখে রেখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মৃত বধূর ভাই বনগাঁ থানায় ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন