শম্পা গুপ্ত : হাসপাতালে চিকিৎসারত প্রৌঢ়ার জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন রক্তের। হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে এই মুহূর্তে রক্তের সঙ্কট চলছে। আর এই অবস্থায় রোগীকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন হাসপাতালের এক ডাক্তারী পড়ুয়া চিকিৎসক। চিকিৎসকের এমন মানবিক ভূমিকায় গর্বিত হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, পুরুলিয়ার মানবাজারের বাসিন্দা বছর ৬১ বয়সের প্রৌঢ়া রানী মাহালীর প্যানক্রিয়াসে টিউমার সহ বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর জরুরী অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই রোগীর বুধবার অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা রোগীর পরিবারকে জানিয়ে দেন, রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কম রয়েছে। ফলে অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে মোট ৪ ইউনিট রক্ত লাগবে। কিন্তু সেই রক্ত জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হয় রোগীর পরিবারকে।
পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে ওই হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের ছাত্র, চিকিৎসক সৃজন রায় এগিয়ে এলেন। রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে নিজেই রক্ত দিলেন। চিকিৎসাধীন রোগীর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক এইভাবে ত্রাতার ভূমিকা পালন করায় গর্বিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবারেই প্রথম নয়, কোচবিহারের বাসিন্দা চিকিৎসক সৃজন রায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ার সময় একাধিকবার রক্ত দান করেছেন। এই নিয়ে তিনি ১৫ বার রক্ত দান করলেন। আগামীদিনে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের রক্ত সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানালেন।
হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসকের এই ভূমিকায় এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, এমন মানসিকতার চিকিৎসক যত বেশি থাকবেন, ততবেশি সমাজের উপকার হবে। সমাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন