সমকালীন প্রতিবেদন : মনের জোর থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনওভাবেই দমিয়ে রাখতে পারে না, তার বড় প্রমান সুজিত দাঁ। জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই সুজিতের। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে ছোটবেলাতেই হাতের বদলে পায়ে কলম ধরেছিলেন। এখন সেই পা দিয়েই ট্রাক্টর চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
জন্মসূত্রেই হাত না থাকায় লড়াইটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়েছিল সুজিতের। দরিদ্র পরিবারের এই সন্তানের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ভবিষ্যৎ জীবনে যাতে সমস্যা সৃষ্টি না করে, তাই ছোটবেলা থেকেই লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন মা।
তাঁর এই লড়াইয়ে সাহস জুগিয়েছেন শিক্ষক শক্তিপদ ভট্টাচার্য। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বাসিন্দা সুজিত দাঁ এর পায়ে পেন ধরিয়ে দিয়ে পা দিয়ে লেখার অভ্যেস তৈরি করিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। আর এবাবেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আইটিআই এর মাধ্যমে সার্ভে ডিপ্লোমা কোর্সও সম্পূর্ণ করেছেন তিনি।
কিন্তু তারপরেও মেলেনি কোনও সরকারি চাকরি। ২০১১ সালে ডিভিসির চাকরির পরীক্ষায় বসে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন সুজিত। চাকরির প্যানেলে তাঁর নামও উঠেছিল। কিন্তু তারপর কি যে হলো, তা আর বুঝতে পারেন নি সুজিত।
একসময় সরকারি চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে পরিচিত এক ব্যক্তির সহযোগিতায় পা দিয়ে ট্রাক্ট চালানোর অভ্যেস শুরু করেন। এখন সেই পা দিয়েই অনায়াসেই ট্রাক্টর চালাতে পারেন বছর ৩৭ বয়সের সুজিত। ট্রাক চালানোর পাশাপাশি ধান কেনাবেচার ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন