শম্পা গুপ্ত : কাশ্মীরের ডাল লেকে গিয়ে শিকারায় চড়ার সুযোগ যাদের নেই, তারা পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধে সেই সুযোগ পাচ্ছেন। তবে তা দুধার স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই তা আশাব্যাঞ্জক।
পুরুলিয়ায় ঘুড়তে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠছে পুরুলিয়ার শিকারা পয়েন্ট। পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধই এখন হাতের কাছের ছোট্ট এক টুকরো কাশ্মীরের শিকারা পয়েন্ট। বছরের শেষে দূর দুরান্ত থেকে পুরুলিয়ায় আসছেন হাজার হাজার পর্যটক।
পুরুলিয়ায় অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড় এবং গড় পঞ্চকোট রয়েছে। পুরুলিয়ার অন্যতম আকর্ষণ এই পাহাড়গুলির পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বহু পর্যটনক্ষেত্র। আপ তা দেখতে প্রায় গোটা বছরই ভীড় জমান পর্যটকেরা।
এগুলির পাশাপাশি সাহেব বাঁধের শিকারা পয়েন্ট এখন অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। পুরুলিয়া শহরে যারা থাকছেন তারা একবার হলেও হাজির হচ্ছেন শিকারা পয়েন্টে। শিকারায় চেপে গোটা সাহেব বাঁধের এক প্রান্ত ঘোরা এক আলাদা আনন্দ।
শিকারার সেই আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা হাজির হচ্ছেন শিকারা পয়েন্টে। পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই শিকারা পয়েন্ট। একেবারে কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই শিকারা। পর্যটকেরা পুরুলিয়া এলেই সাহেব বাঁধের শিকারা পয়েন্টে একবার ঘুরতে যাবেই।
এব্যাপারে পুরুলিয়া পুরসভার প্রধান নব্যেন্দু মাহালী জানান, শিকারা পয়েন্টে ঘুরতে আসছেন বহু পর্যটক। এখন প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটক আসছেন পুরুলিয়ার অযোধ্যায়। শিকারা পয়েন্টও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে কয়েক বছর আগেই তৈরি করা হয়েছিল এই শিকারা পয়েন্ট। করোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় এখন চাহিদা বাড়ছে এই শিকারার। পর্যটকদের কাছে এই শিকারায় ভ্রমণ অত্যন্ত আনন্দের হয়ে উঠছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন