সমকালীন প্রতিবেদন : বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ফের পোষ্টার পরল। আর তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পোষ্টারের ব্যাপারে বিজেপি দোষ চাপিয়েছে তৃণমূলের দিকে। আর তৃণমূলের বক্তব্য, এটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
সোমবার সকালে বনগাঁ প্লাটফর্মের একাধিক জায়গায় দেখা গেল, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাসের নামে পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে 'রামপদ হাটাও বনগাঁ বিজেপি বাঁচাও।'
শুধু রামপদ দাসই নয়, ওই পোষ্টারে দলের আহ্বায়ক মন্টু বৈরাগীর নামেও একাধিক কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। ছড়া কেটে নানা দোষত্রুটির কথা সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও সেই পোষ্টারে অনেক ভুলভ্রান্তি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী ওরফে মন্টু বৈরাগীকে সম্প্রতি জেলার আহ্বায়ক পদের দায়িত্ব দিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। পোষ্টারে মূলত সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে।
এব্যাপারে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস জানিয়েছেন, 'বিজেপি যারা করেন, তারা কেউ এই ধরণের কদর্য ভাষা ব্যবহার করেন না। মন্টুবাবু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে নতুন পদ পাওয়ায় তৃণমূল সহ্য করতে না পেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।'
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস দাবি করেছেন, 'এটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপির ওপরতলা থেকে নিচুতলা সর্বত্রই গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। এই পোষ্টার তারই কারণে। বিজেপিকে নিয়ে তৃণমূলের ভাবার সময় নেই।'
উল্লেখ্য, এর আগেও বনগাঁ সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূলের একাধিক নেতা, কর্মীর বিরুদ্ধে এভাবে পোষ্টার পরতে দেখা গেছে। আর সব ক্ষেত্রেই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতেও দেখা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন