শম্পা গুপ্ত : পাহাড়ি ঝর্ণার সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে ৫০ ফুট খাদে পরে গেলেন এক যুবক। পাহাড়ের খাঁজে আটকে পরা ওই যুবককে অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে।
শীত পরতেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে অযোধ্যা পাহাড়ে। তিল ধারণের জায়গা নেই পাহাড়ের হোটেলগুলিতে। আর এখানকার বামনি ফলস এর অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে সারা বছরই ভিড় জমান পর্যটকেরা।
শুক্রবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া থেকে এমনই একটি পর্যটক দল অযোধ্যা পাহাড়ের বামনি ফলস দেখতে যায়। সেই দলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন যীশু বড়াল নামে এক যুবক।
বামনি ফসলকে পেছনে রেখে তিনি মোবাইলে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। ছবি তোলার খেয়ালে তিনি পায়ের দিকে আর নজর দেন নি। ফলে একটি পাথরে পিছল খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০ ফুট গভীর পাথরের খাদে পরে যান তিনি।
সেখানেই কোনওরকমে আটকে যান। তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে ছুটে আসেন সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় বাঘমুন্ডি থানা এবং বনদপ্তরকে। থানা থেকে ছুঁটে আসেন পুলিশ কর্মীরা।
এরপর ওই যুবককে পাহাড়ের খাদ থেকে তোলার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। জোগাড় করা হয় লম্বা দড়ি। সেই দড়ির একটি মাথা পোঁছে দেওয়া হয় ওই যুবকের কাছে। দড়ি দিয়ে ওই যুবকের কোমড় শক্ত করে বেঁধে ফেলার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মীরা।
এরপর বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় বাঘমুন্ডি থানার এএসআই বিপদতারণ চ্যাটার্জী, কনস্টেবল প্রশান্ত দে, নবীন কিশোর গরাই এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মৃদুশীল কুমার ওই যুবককে সেই দড়ি ধরে টেনে উপরে তোলেন।
পুলিশের সহযোগিতায় অবশেষে প্রাণ ফিরে পাওযায় পুলিশকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ ওই যুবকের পরিবার। এমন ঘটনায় কিছুটা বিহ্বল হয়ে পরলেও ওই যুবক সুস্থ আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে কলকাতার বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া হরপা বানের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। পর্যটকদের প্রতি পুরুলিয়া জেলা পুলিশ এবং বনদপ্তরের আবেদন, বামনি ফলস সহ অন্যান্য বিপজ্জনক জায়গাগুলিতে ঘোরার সময় একটু সতর্ক থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন