Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২

‌‌করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে

New-variant-of-Corona

সমকালীন প্রতিবেদন : বিপদ গিয়েও ‌যাচ্ছে না। চীনে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ আবারও চিন্তার ভাঁজ ফেলছে চিকিৎসকদের কপালে। প্রায় আড়াই বছর বাদে করোনা শূন্য হয়েছিল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিশালভাবে কমে গিয়েছিল গোটা দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। 

তবে ভারতে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এর দ্বারা আক্রান্ত চারজনের খোঁজ মেলায় চিন্তা শুরু হয়েছে। যার কারণে দেশে আবারও করোনার গ্রাফ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

যেখানে সারা বিশ্বে ধীরে ধীরে কমে আসছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সেখানে বছরের শেষের দিকে এসে আবারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন।ইতিমধ্যেই চীনে মারাত্মক আকার ধারণা করেছে করোনা। করোনার এবারের ভ্যারিয়েন্টের নাম BF.7। 

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, প্রতিদিন প্রায় দু হাজার জনের কাছাকাছি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি সংক্রামক হলো করোনার এই উপশাখা। এক এক বারে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ জনকে একসঙ্গে সংক্রমিত করছে এটি। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, চীনের বেইজিং শহরে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতরে সংক্রমণ নিজের শিখরে পৌঁছতে পারে। যার ফলে ২০২৩ এর প্রথম দিকে মৃত্যু মিছিল দেখতে হতে পারে চিনে। 

আর এর মধ্যেই চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের BF.7 -এ আক্রান্ত চারজন রোগী। তবে এটাই প্রথম নয়। ভারত বাদেও করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের তালিকায় আছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিলের মতো দেশ। 

বিশ্বে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করে দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। আবারও জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহার করার জন্য এবং যাদের এখনও বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়নি, তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে সতর্ক করা হচ্ছে।

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট এর কর্ণধার আদর পুনাওয়ালার অবশ্য বক্তব্য, চীনে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে ভারতের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। দেশে দুর্দান্ত হারে টিকাকরণ হয়েছে। তাই শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চললে এবং নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখলেই হবে।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান এখনকার এই সংক্রমণের ঢেউ চলবে প্রায় ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে যদি করোনার এই ঢেউকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায়, তাহলে আবারও কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের মধ্যে মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

এবার শুধু দেখার বিষয়, দেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কিভাবে মোকাবিলা করে আসন্ন এই বিপদের। তবে দায়িত্ব শুধু তাদেরই নয়। আমাদেরও কর্তব্য, সমস্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নিয়ম মেনে চলা এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্ট BF.7 কে হারিয়ে দেওয়া।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন