সমকালীন প্রতিবেদন : অগ্নিকান্ডে ভষ্মীভূত হাবড়ার রেলবস্তি এলাকার চারিদিক এখন যেন একটি ধ্বংসস্তুপ। সেখানে এখনও পোড়া গন্ধ। আর সেই ধ্বংসস্তুপের ছাইয়ের গাদা হাতরে শেষ সম্বলটুকু খুঁজে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন দরিদ্র পরিবারগুলির সদস্যরা।
বুধবার বিকেলেই বিধ্বংসী আগুনে সর্বশান্ত হয়েছেন এখানকার বহু পরিবার। মাথা গোজার ঠাঁইটুকু হারানো এই অসহায় মানুষদের ঠিকানা এখন হাবড়া মডেল স্কুল। সেখানকার ৫ টি শ্রেণীকক্ষে আশ্রয় পেয়েছেন ২৮ টি পরিবারের ১২০ জন সদস্য।
বৃহস্পতিবার সকালে সব হারানো সেই মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান, আগুন লাগার পরপরই প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় মানুষ, দলের কর্মী, পুরসভার কর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে।
এদিন ভিটেহারা এই মানুষদের মন্ত্রী কথা দেন, সরকারি উদ্যোগে তাঁদের প্রত্যেকের নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না এই কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করবে হাবড়া পুরসভা।
এদিনের অগ্নিকান্ডে রেলবস্তির বাসিন্দাদের প্রায় প্রত্যেকেই তাঁদের বাড়ির সমস্ত আসবাব থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না, জরুরী কাগজপত্র সবকিছুই হারিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এখন দিকভ্রান্ত।
এদিকে, আগুনে গৃহহীন মানুষদের হাবড়া মডেল হাইস্কুলে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হওয়ায় এই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর শেষ দুটি পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বুধবারের অগ্নিকান্ডে রেলবস্তির ৩৩ টি বাড়ি ভষ্মীভূত হয়ে গেছে বলে হাবড়া পুরসভার প্রধান নারায়ণ সাহা জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন