শম্পা গুপ্ত : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জরুরী প্রয়োজনে এখন থেকে রাতভর খোলা থাকবে ওষুধের দোকান। এমন উদ্যোগ বেঙ্গল কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং জেলা পুলিশের। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই দোকানের তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসারত রোগীদের রাতবিরেতে ওষুধের প্রয়োজন হলে, সেই ওষুধ জোগাড় করে আনা রোগীর আত্মীয়দের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পরছিল। ফলে চরম হয়রানি এবং ভোগান্তির মধ্যে পরতে হয় রোগীর পরিজনদের।
এই সমস্যার কথা একাধিকবার জেলা পুলিশের বিশেষ ফোন নম্বর 'পুলিশবন্ধু'র কাছেও পৌঁছায়। আর তারপরই এব্যাপারে ভাবনা শুরু করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। বৈঠক করা হয় বেঙ্গল কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
এই বৈঠকেই সমাধান সূত্রে বেরিয়ে আসে। শহরের ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে জেলা পুলিশ এবং ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এখন থেকে প্রতিদিন শহরের একটি ওষুধের দোকান সারারাত খোলা থাকবে।
এব্যাপারে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাতভর একটি করে ওষুধের দোকান খোলা রাখা হবে। কবে, কোন দোকান সারারাত খোলা থাকবে, দোকানের ফোন নম্বর সহ তার একটি তালিকাও তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাতে অনেক সময় নির্জনতার সুযোগ নিয়ে খোলা ওষুধের দোকানে দুষ্কৃতী হামলা হতে পারে। আর এই আশঙ্কা যাতে না থাকে, তারজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিসিডিএ এর স্থানীয় সভাপতি আনন্দ খেড়িয়া জানান, সারা রাত অন্তত একটি ওষুধের দোকান খোলা রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সংগঠনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেব্যাপারে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এখন থেকে প্রতিদিন একটি করে ওষুধের দোকান খোলা সারা রাত ধরে খোলা রাখা হবে। এতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন