Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

গ্রামে গিয়ে আদিবাসী‌ পরিবারে আহার সারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু

 

Diet-in-tribal-families

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্য রাজনীতিতে বর্তমানে 'ভোজন রাজনীতি'‌ যথেষ্ট প্রাধান্য পেয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হোক কিম্বা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মানুষের মন পেতে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে অতি সাধারণ পরিবারে খাদ্য গ্রহণের ঘটনা এখন প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। এই তালিকায় নতুন সংযোজন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

নিজের সংসদ এলাকার মানুষের সুবিধা অসুবিধা জানতে সোমবার বনগাঁ লোকসভার বাগদার কুঠিবাড়ি এলাকার আদিবাসী পাড়ায় হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্বরাও।

গ্রামে পৌঁছাতেই এলাকার দরিদ্র মহিলারা মন্ত্রীর কাছে নানা না পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। তাদের কেউ জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। কেউ বলেন, শৌচাগার পাচ্ছেন না। আবার কেউ বলেন, ঘর পাচ্ছেন না।

এমন অনেক অভিযোগ শোনার পর মন্ত্রী তাদেরকে বলেন, এর অধিকাংশই রাজ্য সরকারের প্রকল্প। আর কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকার ঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে না। এব্যাপারে তিনি উপযুক্ত জায়গায় জানাবেন বলে তাদেরকে জানান।

এই গ্রামে গিয়েই নন্দরাণী সিং নামে এক আদিবাসী পরিবারের ছোট্ট কুঠিতে গিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে কচু শাক, বুনো আলু, পুঁইশাকের তরকারি, ডাল, মাছ সহযোগে দুপুরের আহার ‌সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে নিজের অভাব অভিযোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, '‌ওই পরিবারের আমন্ত্রণে আজ এই বাড়িতে দুপুরের খাওয়া সারলাম। গ্রামবাসীদের নানা সমস্যার কথা শুনলাম।' 

নিজের সাংসদ কোটার টাকা এই এলাকার মানুষের জন্য খরচ করতে চাইলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত তা করতে দিচ্ছে না বলে এদিন অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

যদিও স্থানীয় সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ পাল্টা অভিযোগ করেন, নির্বাচিত হওয়ার পর একদিনের জন্যও এই এলাকায় আসেন নি সাংসদ। তাঁর সাংসদ কোটার কোনও টাকা এই এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগে নি। এখন সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এখন দেখা পাওয়া যাচ্ছে। 

এদিন এলাকায় গিয়ে ওই এলাকার মানুষদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, তিনি তাঁর সাংসদ কোটার টাকা খরচ করতে চাইলেও তার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন