সমকালীন প্রতিবেদন : ঘুম থেকে উঠে চোখ মেললেই সামনে পাহাড়। যতদূর চোখ যায় চারিদিক শুধু পাহাড় আর পাহাড়। প্রকৃতির নিস্তব্ধতা আর স্নিগ্ধতা পাগল করে তুলবে মনকে। দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনের কোলাহল ছেড়ে জোড়া পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতির কোলে দুদিন নিভৃতে কাটানোর জন্য আপনাকে হাতছানি দিচ্ছে পুরুলিয়া।
দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের সবসময়েই আকৃষ্ট করে। গরমের রুক্ষতা হোক কিম্বা শীতের স্নিগ্ধতা– দুটি ক্ষেত্রেই তার রূপ আলাদা। ফলে সারা বছরই এই জেলা পর্যটকদের কাছে সমান আকর্ষনীয়।
বিখ্যাত অযোধ্যা পাহাড়ের পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতেই অবস্থান গজাবুরু এবং ঢোলবুরু পাহাড়ের। সবুজে ভরা এই জোড়া পাহাড়ের শান্ত প্রকৃতি বছরের ছয়টি ঋতুতে ছয় রকমের সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে। আর সেই কারণেই এই অঞ্চলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেসরকারি রিসর্ট।
রুক্ষ প্রকৃতির স্বভাবে ভরা পুরুলিয়া জেলার আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। সেই নিজস্বতাকে সঙ্গী করে পর্যটকদের এই জেলায় টেনে আনার ক্ষমতা রয়েছে তার। সেই টানকে গুণমানে আরও বাড়িয়ে তুলতে এই প্রকৃতির কোলে এক এক করে গড়ে উঠছে নানা রিসর্ট।
পুরুলিয়ার পাঁড়কিডির গজাবুরু পাহাড়ের পাদদেশে এমনই একাধিক বেসরকারি রিসর্ট রয়েছে। তারই একটি 'পলাশ বাড়ী'। সবুজে ঘেরা শান্ত এই প্রকৃতির কোলে দুটি দিন নিরিবিলি কাটানোর জন্য এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু কটেজ এবং টেন্ট।
পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে আরশা ব্লকের হেশলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁড়কিডি গ্রামে গড়ে উঠেছে নতুন এই পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার গজাবুরু পাহাড়ে পর্বতারোহণের জন্য প্রতি বছর পর্যটকেরা এখানে ভিড় জমান।
পর্বতারোহণ ছাড়াও প্রকৃতি এবং নানা জাতের পাখির ছবি তুলতে ক্যামেরা হাতে হাজির হয়ে যান ছবি পাগলেরাও। আর এমনই একটি পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে এই রিসর্ট।
রিসর্টের চারপাশ নানা ফুল গাছ দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনাও চলছে। রিসর্টের জানালা খুললেই চোখে পরবে একদিকে গজাবুরু পাহাড়, অন্যদিকে ঢোলবুরু পাহাড়।
আর এই জোড়া পাহাড়ের পেছনেই রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়। এই রিসর্টে থাকলে রাতে স্বাদ মিলবে পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌঁ নাচ এবং আদিবাসী নাচের। মন চাইলে তাদের নাচের তালে তালে পা মেলাতে পারবেন আপনিও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন