সমকালীন প্রতিবেদন : ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে চালানো হয় গুলি। জখম ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় ৩ দুষ্কৃতী। ঘটনার প্রায় ৭ বছর পর বিচারক ৩ দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন। বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এই নির্দেশ দেন।
এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী বনগাঁ পুরসভার ঠিকাদার তথা দেবগড় এলাকার বাসিন্দা উৎপল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে ৩ দুষ্কৃতী। গুলিতে মারাত্মক জখম ওই ব্যক্তিকে প্রথমে বনগাঁ এবং পরে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রায় ২০ দিন চিকিৎসা চলার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ঘটনার পরপরই জখম ব্যক্তির স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দীনেশ মন্ডল, সুরেন রায় এবং রণজিৎ বারুই নামে ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে।
কিছুদিন জেল খাটার পর অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। ২০১৯ সালে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট ১১ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে মঙ্গলবার বনগাঁ এডিজে ২ আদালতের বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার ওই ৩ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার তাদের সাজা ঘোষনা করেন বিচারক। সেখানে একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি, যে ৩ জন সাক্ষী প্রথম দিকে গোপন জবানবন্দি দিয়েও পরে উল্টো সাক্ষী দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহনেরও নির্দেশ দেন বিচারক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন