সমকালীন প্রতিবেদন : দিনের বেলায় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল গোটা বাড়ি। ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা দেড় বছরের ছোট্ট ভাইকে নিয়ে কোনওরকমে ঘর থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালো ৮ বছরের দিদি। বৃহস্পতিবার সকালে বনগাঁ থানার কালুপুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, কালুপুর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস পেশায় দিনমজুর স্বপন হালদারের। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সাতসকালে কাজে বেরিয়ে যান স্বপন। এরপর সকাল ১১ টা নাগাদ দেড় বছরের শিশুপুত্রকে ঘরে ঘুম পারিয়ে এলাকাতেই বিশেষ কাজে বের হন স্বপনের স্ত্রী দুলালী।
কিছুক্ষণ পর তাঁদের ৮ বছরের মেয়ে দুলালীকে গিয়ে খবর দেয় যে, তাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। দুলালী বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, আগুনে ততক্ষণে সব কিছু পুড়ে শেষ। চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন দুলালী।
এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ আগুন লাগে। আগুন লাগার পর স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা এসে বালতি করে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পরেন। আগুন বেশ কিছুটা আয়ত্বে আসার পর বনগাঁ থেকে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি আয়ত্বে আনেন। যদিও ততক্ষণে সব শেষ।
ওই বাড়িতে যখন আগুন লাগে, তখন ঘরের মধ্যে ঘুমাচ্ছিল দেড় বছরের এক শিশুপুত্র। বিপদ টের পেয়ে তার ৮ বছরের দিদি তাকে কোলে তুলে নিয়ে কোনওরকমে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারায় তারা দুজনই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি সরকার। পরিস্থিতি দেখে তিনি হতাশ হয়ে পরেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে সর্বোতভাবে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। দিন আনা দিন খাওয়া এই দরিদ্র পরিবারকে সবরকমের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন