সমকালীন প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ করতে এলে তৃণমূল নেতাদের ট্রিটমেন্ট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার পরামর্শ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের ঠাকুরনগরে বিজেপির এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এদিন দুপুর দুটো নাগাদ উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের বুথগুলিকে দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলবেন। তৃণমূল বুথ দখল করতে এলে রাজ্য পুলিশ তাদেরকে কিছু বলবে না। আর তাই নিজেরা তৃণমূলের বুথ দখলকারীদের ট্রিটমেন্ট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন।'
দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে এদিন তিনি আরও বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোখে চোখ রেখে লড়াই করুন। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের দায়িত্ব পার্টির। আপনারা শুধু লড়াই করুন।'
সুকান্ত মজুমদার এদিন অভিযোগ করেন, 'যে এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই বৈঠকে বিজেপির সেই এলাকার সাংসদ, বিধায়কদের ডাকা হচ্ছে না। কেউ নিজের থেকে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তাঁকে আটকে দিচ্ছে'। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'এইসব প্রশাসনিক বৈঠকে যে টাকা খরচ হচ্ছে, তা কি তৃণমূলের টাকা ?'
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন সুকান্ত মজুমদার অভিযোগের সুরে বলেন, 'ভারতের আইন অনুযায়ী সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিএসএফের এক্তিয়ারের মধ্যে পরে। কিন্ত সীমান্ত এলাকার ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে আনতে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত 'লুঙ্গি বাহিনীকে' দিয়ে কেন্দ্রের সমস্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে মানুষকে খেপিয়ে তুলছেন।'
সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও এদিনের কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তবে এদিন উপস্থিত ছিলেন না গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন