Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২

দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‌জমিতে নাড়া পোড়ানো নিষিদ্ধ করল কৃষি দপ্তর

 

Stir-burning-is-prohibited

সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত থেকে সুন্দরবনে নাড়া পোড়ানো নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য কৃষি দপ্তর। বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের দূষণ প্রতিরোধে পথে নামলেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। প্রচারের জন্য লিফলেট ছড়ানোর পাশাপাশি মাইক প্রচার করে কৃষকদের সচেতনতার বার্তা দেওয়া হল। বলা হয়েছে, বিচুলির নাড়া কৃষি জমিতে যেন না পোড়ানো হয়।

বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ হচ্ছে দূষণ। আর এই দূষণকে যদি না থামানো যায়, তাহলে আগামী ১০ বছরের ভেতরে পৃথিবীর তাপমাত্রা সাধারণের থেকে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদেরা।

এই দূষণের কারণে প্রতিবছর এক বিশাল ভোগান্তির মধ্যে পরতে হয় ভারতবর্ষকেও। ভারতবর্ষের এই দূষণের কারণেই দিল্লি, হারিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি শীতের শুরুতেই মাঝে মাঝে অন্ধকারে ঢেকে যায়। 

পরিবেশবিদদের মতে, ফসল তোলার পর জমিতে পড়ে থাকা খড় বা আগাছা পুড়িয়ে ক্ষেতকে পরিষ্কার করার জন্যই এই দূষণের তীব্রতা। আর এই তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের প্রতিটি রাজ্যই যেখানে এই দূষণ প্রতিরোধের জন্য এক এক করে পদক্ষেপ করছে, সেখানে পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যও।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে আজ নাড়া পোড়ানো যাবে না বলে একটি নির্দেশিকা জারি করা হলো। স্বরুপনগর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের কৃষিজীবী মানুষদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কুল ও পেয়ারা গাছ, যেগুলি সহজে বড় হয় এবং দূষণ প্রতিরোধে সাহায্য করে, সেই গুলি যাতে উন্নতমানের দেশীয় প্রযুক্তিতে চাষ করা যায়, সেই জন্য সেই সব চারাগাছগুলিও বিনামূল্যে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত প্রায় এক মাস ধরে চলছে তাদের এই সচেতনতামূলক বার্তা। এদিন প্রায় ৫০ জন কৃষকের হাতে বারুইপুরের পেয়ারা এবং কুলের চারাগাছ তুলে দেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। কৃষকদেরকে নিয়ে আগামী দিনের প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং ব্লকস্তরে কর্মশালা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকেরা।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন