Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

কাঁচাবাদামের রসগোল্লায় মন মজেছে মিষ্টি রসিকদের

 

Raw-almond-rasgolla

সমকালীন প্রতিবেদন : বছরখানেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল কাঁচাবাদাম গান। আর তারই সূত্র ধরে জীবন বদলে গেছে এই গানের রচয়িতা ভুবন বাদ্যকরের। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা তার বাইরের রাজ্যে নয়, ভারতের বাইরের একাধিক দেশের লোককেও কাঁচাবাদাম গানে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ভুবনবাবু। 

কিন্তু এতদিন বাদে হঠাৎ ভুবন বাবুর প্রসঙ্গ কেন? না, আসলে ভুবন বাদ্যকর নয়। আজকের প্রসঙ্গ তার জন্য ভাইরাল হওয়া কাঁচা বাদামকে নিয়ে। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেদিকেই নজর পড়ছিল, সেদিকেই ছিল শুধুমাত্র 'কাঁচা বাদাম'। 

এবার সেই কাঁচা বাদাম পৌঁছে গেল বাঙালির অন্যতম ভালোবাসা রসগোল্লাতেও। আজ্ঞে হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনছেন। কাঁচা বাদাম এবার রসগোল্লাতেও। দুর্গাপুরের মামরা বাজারের একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে এবারের সবথেকে হিট মিষ্টি কাঁচা বাদাম ফ্লেভারের রসগোল্লা।

প্রতিটি বাঙালি তথা মিষ্টি অন্ত প্রাণ এমন মানুষের পছন্দের মিষ্টির তালিকায় প্রথম পাঁচে রসগোল্লা থাকবে না, সেটি অসম্ভব। কিন্তু মাত্র বছর খানেক আগে পর্যন্তও এই রসগোল্লা নিয়েই রীতিমতো দড়ি টানাটানি চলছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যার মধ্যে। 

দুই রাজ্যেরই দাবি ছিল, রসগোল্লার উৎপত্তি তাদের নিজেদের রাজ্যে। বহুদিন এই টানাপোড়েন চলার পর শেষমেষ ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রসগোল্লার 'জিআই' ট্যাগ লাভ করে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থাৎ রসগোল্লার উৎপত্তি যে আসলে বাংলাতেই, তা প্রতিষ্ঠা পায় ওই দিন। 

ব্যাস! তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটি রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয় গোটা রাজ্যে। আর এই রসগোল্লা দিবসে বিনামূল্যে রসগোল্লা খাইয়ে দিনটি অন্যভাবে পালন করল দুর্গাপুরের এক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান।

এই দিন রসগোল্লা খেতে এবং বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যেতে রীতিমত উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় দোকানের সামনে। কাঁচা আম, আনারস, নলেন গুড়ের মতো একাধিক ফ্লেভারের স্বাদে এদিন মেতে উঠেছিল খাদ্যরসিক শহরবাসী। কিন্তু এতগুলো ফ্লেভারের মধ্যেও সব থেকে বেশি উন্মাদনা ছিল সেই কাঁচা বাদাম ফ্লেভারকে নিয়েই। 

সমস্ত মানুষের আয়ত্তের মধ্যেই রাখার জন্য নানা প্রকারের ফ্লেভার যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এই রসগোল্লাগুলির দাম রাখা হয়েছিল সাধারণ রসগোল্লার মতোই মাত্র ১০ টাকা।

এটি তাদের রসগোল্লা দিবস উদযাপন করার পঞ্চম তম বর্ষ। গত পাঁচ বছর ধরে তারা এই দিনটি বিনামূল্যে রসগোল্লা খাইয়ে উদযাপন করছেন। তাদের কথা অনুযায়ী আগামীতেও তারা এই দিনটিকে এভাবেই মানুষজনকে রসগোল্লা খাওয়ানোর মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে উদযাপন করবেন।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন