সমকালীন প্রতিবেদন : সুন্দরবন এলাকায় নদীভাঙন রুখতে রাজ্য সরকার মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করবে। আর তারপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে নীতি আয়োগের কাছে। বুধবার সুন্দরবন সফরের দ্বিতীয় দিনে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মঙ্গলবার সফরের প্রথমদিন শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বিভ্রাট ঘটে। যার কারণে প্রকাশ্যেই জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতবস্ত্র বিলি ঠিকভাবে না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন এলাকায় একাধিক শিবির করে এই বস্ত্র প্রদান করা হয়। এব্যাপারে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপর দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার দুপুরে টাকি লঞ্চ ঘাট থেকে ইছামতি নদীতে লঞ্চে করে সফরে বের হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। লঞ্চে করে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান বসিরহাটের সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লকের খাঁপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সোজা প্রবেশ করেন ওই স্কুলের ক্লাসরুমে। সেখানে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে এইভাবে কাছে পেয়ে হকচকিয়ে যান বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। খুদে পড়ুয়া এবং গ্রামবাসীদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন গ্রামে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে খেঁজুর পাতা দিয়ে মাদুর তৈরির কাজ শেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় দুপুর হয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের কাছে নিজে খাবার চেয়ে খান। এমন প্রস্তাব পেয়ে হকচকিয়ে যান পরিবারের মহিলা। এরপর রেশনের মোটা চালের ভাত এবং কচু দিয়ে রান্না করা ট্যাংরা মাছের ঝোল খান মুখ্যমন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন