দেবাশীষ গোস্বামী : তবে কি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সকলেই কালা হয়ে যাবে বা কানে কম শুনবে ? বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পরের প্রজন্মের সকলে না হলেও একটা বৃহৎ অংশ কানে কম শুনবে। যদি এখনই কোনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
আজকাল যেখানেই যান রাস্তায়, বাজারে, ট্রেনে, বাসে, প্লেনে সেখানেই দেখা যাচ্ছে প্রায় সকলেরই গলায় বা কানে লাগানো আছে হেডফোন, নয় তো এয়ার বাডস। প্রায় সকলেই মগ্ন হয়ে কিছু না কিছু শুনছে। এদের বেশিরভাগই কিশোর–কিশোরী বা যুবক–যুবতী।
সম্প্রতি বিএমজে গ্লোবাল হেলথ নামক একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পত্রিকায় যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে ২৮০ কোটি ১২ থেকে ৩৪ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরী ও যুবক–যুবতীর মধ্যে ১৩৫ কোটির অবস্থা খুবই বিপদজনক।
বিএমজে গ্লোবাল হেলথ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, এই ১৩৫ কোটি কিশোর–কিশোরী প্রায় প্রত্যেকেই পিএলডি বা পার্সোনাল লিসনিং ডিভাইস ব্যবহার করে। সাধারণত মানুষের শোনার জন্য ৭৫ থেকে ৮০ ডেসিবেল শব্দই যথেষ্ট। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই গড়ে ১০২ ডেসিবেল থেকে ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ ব্যবহার করে।
এখনই যদি এই কিশোর–কিশোরী ও যুবক–যুবতীরা প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাদের শ্রবন ক্ষমতা খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এব্যাপারে রাষ্ট্র কি কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না ? প্রশ্ন সেখানেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন