শম্পা গুপ্ত : সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিজেদের দখলে নিল কংগ্রেস। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সোমবার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সমস্ত কাউন্সিলরেরা। অন্যদিকে, দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গঠন করলো কংগ্রেস।
ঝালদা পুরসভাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বাড়ছিল রাজনৈতিক উত্তাপ। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় অনাস্থার দাবী করে আসছে কংগ্রেস। অবশেষে সোমবার ঝালদা পুরসভায় অনুষ্ঠিত হলো অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত তলবি সভা।
এরজন্য এদিন সকাল থেকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল পুরসভা চত্তর। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরসভার ২০০ মিটার এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। যদিও শেষপর্যন্ত এদিন কোনও গোলমালের ঘটনা ঘটে নি।
শেষ পুরসভা নির্বাচনে ১২ আসনের এই পুরসভায় ৫ টি করে আসন দখল করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। দুটি আসন দখলে রয়েছে নির্দলদের। গত সাত মাস এই নির্দলদের সমর্থন নিয়ে পুরসভা চালিয়ে এসেছে তৃণমূল। সম্প্রতি দুই নির্দল কাউন্সিলর তাদের পক্ষে চলে গেছেন, এই দাবী করে বর্তমান পুরপ্রধান সুরেশ আগারওয়ালকে অপসারণ করার জন্য প্রস্তাব আনে কংগ্রেস।
এদিন সেই সংক্রান্ত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো ঝালদা পুরসভায় দুই নির্দল কাউন্সিলারকে নিয়ে পৌঁছে যান কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলার। তবে এদিন শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর এই সভায় যোগ দেননি। শেষপর্যন্ত নিজেদের সমর্থনে ৭ জন কাউন্সিলর থাকায় পুরসভা দখল করে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, পুরসভা নির্বাচনের পরপরই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেসের হাত থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছিল। এদিন সেই পুরসভা কংগ্রেসের দখলে আসায় খুশি তপন কান্দুর স্ত্রী সহ জেলা কংগ্রেস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন