সমকালীন প্রতিবেদন : একদিকে দ্রুতগতিতে বাইক চালানো, অন্যদিকে হেলমেট না পড়ে বাইক চালানো। আর এই দুই কারণে পথ দুর্ঘটনায় সমস্যায় পড়ছেন বাইক চালক কিংবা আরোহী।
এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা আটকাতে হেলমেট ব্যবহারের উপর নতুন করে জোর দিল পুলিশ প্রশাসন। বুধবার বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বনগাঁর ত্রিকোণ পার্ক সংলগ্ন নীলদর্পণ ভবনের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল বিশ্বাস সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
পথ চলতি বাইক আরোহীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, একটি হেলমেটের দামের থেকে একটি জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই একটু কষ্ট করে বাইক চালানো বা বাইক চড়ার সময় হেলমেট ব্যবহার করুন। তাতে নিজেদের জীবনই সুরক্ষিত থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে রাজ্যে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির সূচনা হয়।
সেই সময় তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, বাইক চালক কিংবা বাইক আরোহীদের হেলমেট পড়া কতটা জরুরী। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
এদিন বাইক আরোহী পুলিশকর্মীরা বাইকের সামনে নানা সচেতনতামূলক প্লাকার্ড ঝুলিয়ে একটি র্যালি করেন। সবুজ পতাকা নেড়ে এই র্যালির সূচনা করেন পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য অতিথিরা। নীল দর্পণের সামনে থেকে শুরু করে মতিগঞ্জ, বাটা মোড় হয়ে নীল দর্পণের সামনেই এই র্যালি শেষ হয়।
এর পাশাপাশি, এদিন যেসব বাইক চালক হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বাইক চালাচ্ছিলেন, এমন প্রায় ৫০ জনের হাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন হেলমেট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বাইক চালকদের হাতে হেলমেট তুলে দিয়ে তা ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
শুধু হেলমেট তুলে দেওয়া নয়, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ ওই বাইক আরোহীদের সচেতন করে বলেন যে, যারা আজ বিনামূল্যে হেলমেট পাচ্ছেন, তাদের গাড়ির নম্বর নথিভুক্ত করে রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে তারা যদি হেলমেট ছাড়া বাইক চালান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন