সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁর প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো এবছর ৫০ বছরে পা দিল। আর এই উপলক্ষ্যে পুজোর পাশাপাশি ৩ দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুজো প্রাঙ্গনে সর্বসাধারণের জন্য প্রসাদ খাওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়।
পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে রুদ্রপ্রসাদ নাথ জানান, একসময় বনগাঁতে দুর্গাপুজো, কালীপুজো ছাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো হতো না। এই পুজো দেখতে হলে এখানকার মানুষকে কৃষ্ণনগর, চন্দননগরে যেতে হতো। ১৯৭৩ সালে প্রথম বনগাঁর ট বাজার এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয়।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং তাঁদের পরিচিতদের সহযোগিতায় এই পুজোর সূচনা হয়। বনগাঁর প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো হিসেবে তখন এই পুজোকে ঘিরেই বনগাঁর মানুষ মেতে উঠতেন। পরবর্তীতে এই পুজোর পাশাপাশি বনগাঁ শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয়।
বনগাঁর প্রথম এই জগদ্ধাত্রী পুজো পরিচালিত হয় তরুন গোষ্ঠীর হাত ধরে। এবছর এই পুজো ৫০ বছরে পা দেওয়ায় এবারে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল। কৃষ্ণনগর কিম্বা চন্দননগরে যেখানে দুর্গাপুজোর মতো কয়েকদিন ধরে পুজোর আয়োজন হয়, সেখানে বনগাঁর জগদ্ধাত্রী পুজো একদিনের।
যদিও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে প্রতিমা দু–তিন দিন রেখে দেওয়া হয়। এবছর তরুন গোষ্ঠীর ৫০ বছরের পুজোতে ৩ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নানা অনুষ্ঠানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এবারের পুজো। মুল পুজোর সন্ধ্যা আরতি দেখার মতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন