Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

ভোররাতে আগুনে ঘরের ভেতরেই মর্মান্তিক মৃত্যু বাবা–ছেলের

 

Father-and-son-died-in-the-fire

সমকালীন প্রতিবেদন : ভোররাতে বাড়ির ভেতরে আগুন লেগে দম বন্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল বাবা এবং ছেলের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। মঙ্গলবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার এয়ারপোর্ট থানার বিরাটি এলাকায়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধ বাবা–মা কে নিয়ে বিরাটির ১ নম্বর মহাজাতিনগরে নিজেদের ‌বাড়িতে বসবাস করতেন বছর ৫৮ বয়সের বিদ্যুৎ বানার্জী। পেশায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী বিদ্যুৎবাবু অবিবাহিত ছিলেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্তও ছিলেন।

তাঁদের দোতলা বাড়ির একতলায় কেউ থাকতেন না। সেখানে মূলত অফিসের কাজ করতেন বিদ্যুৎবাবু। প্রায় সময়েই রাত জেগে কম্পিউটারে ওই ঘরে কাজ করতেন তিনি। কাজের শেষে দোতলার ঘরে ঘুমোতে যেতেন। দোতলার অন্য ঘরে থাকতেন তাঁর বাবা–মা।

মঙ্গলবার ভোর ৪ টে নাগাদ প্রতিবেশীরা বিকট শব্দ পান। সেই শব্দে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বিদ্যুৎ ব্যানার্জীর বাড়ির একতলার ঘরের জানালা দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বের হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারিদিক ঢেকে গেছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশীরা চিৎকার করে বিদ্যুৎবাবুকে ডাকলেও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায় নি।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিবেশীরাই এরপর জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি পুলিশ এবং দমকলে খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ফোন করে বিদ্যুৎবাবুকে আগুন লাগার বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা। ফোন ধরার পর বিদ্যুৎবাবু বুঝতে পারেন, তাঁদের একতলার ঘরে আগুন লেগেছে।

তবে নিচে নেমে আসার আগেই ধোঁয়া এবং আগুনের তীব্র তাপে প্রচন্ড সমস্যায় পরে যান বাড়ির সদস্যরা। এরইমধ্যে পুলিশ এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের তালা ভেঙে আগুন নেভানোর পাশাপাশি দোতলার ঘর থেকে বাড়ির তিন সদস্যকে বের করে আনার চেষ্টা করেন।

প্রচন্ড ধোঁয়া এবং তাপে অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারানো তিন সদস্যকে এরপর উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বিদ্যুৎ ব্যানার্জী এবং তাঁর ৯২ বছরের বাবা বিজয় ব্যানার্জীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মায়ের চিকিৎসা চলছে বারাসত হাসপাতালে।


দমকলের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসলেও ঘরের ভেতরে থাকা সমস্ত জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কি কারণে এমন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিদ্যুৎবাবুর বৃদ্ধা মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন প্রতিবেশীরা।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন