সৌদীপ ভট্টাচার্য : উত্তর ২৪ পরগনার শাসন এলাকার এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শাসনের ডেউপুকুর অঞ্চলে তার বাড়িতে হানা দিয়ে এগুলি উদ্ধার করেন এসটিএফের অফিসারেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত তৃণমূল নেতার নাম শুকুর আলী। সে শাসনের ডেউপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। এসটিএফের দাবি, ওই এলাকায় তার অনেকগুলি মাছের ভেড়ি রয়েছে। আর এই মাছের ব্যবসার আড়ালে সে অস্ত্র পাচারের অবৈধ কারবার চালাতো।
শাসন এলাকায় তার দাপটে ত্রস্ত ছিলেন এলাকার মানুষ। এই মাছের ভেড়িকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার কারবার চলতো। এই ভেড়ি কার দখলে থাকবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতো অস্ত্র কারবারীরা।
ধৃতকে বুধবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র সহ তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তল্লাসী চালালে তৃণমূলের এমন অনেক নেতার বাড়ি থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতারা এভাবেই অস্ত্র মজুত করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের মছলন্দপুরে বিজেপির কর্মী সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস, প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ ব্যানার্জী সহ অন্যান্যরা।
যদিও দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের যেসব নেতা, কর্মীরা মাঠে–ময়দানে নেমে কাজ করেন, তাঁদেরকেই মূলত এদিন ডাকা হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন