সমকালীন প্রতিবেদন : কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, মিড ডে মিল– সরকারের এমন প্রায় ১৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে।
দিন দিন প্রধান শিক্ষকদের কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। অথচ সেই অনুপাতে বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেস সংগঠনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বনগাঁর ছয়ঘরিয়া রাখালদাস হাইস্কুলে বনগাঁ মহকুমা কমিটির প্রথম ত্রি–বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সেখানে প্রায় ৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এই সম্মেলনেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য সহসভাপতি ড: শান্তনু মন্ডল দাবি করেন, ২০১৯ সালের রোপার বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে ২০২০ সালে তাঁদের মতো প্রায় পৌনে ৪ হাজার প্রধান শিক্ষক–শিক্ষিকা একত্রিত হয়েছেন।
দাবি তোলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে বিডিওদের যে স্কেলে বেতন দেওয়া হতো, প্রধান শিক্ষকদের সেই স্কেলে বেতন দেওয়া হোক। স্কুলে ৪০ জন পড়ুয়া পিছু একজন করে শিক্ষক–শিক্ষিকা থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রাজ্যের অনেক স্কুলেই সেই অনুপাত ছাত্রপিছু ১২০ থেকে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি বদলের দাবি জানানো হয়েছে।
উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলি থেকে শিক্ষকেরা শহরের স্কুলগুলিতে বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন। আর তার ফলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলি শিক্ষকশূন্য হয়ে পরছে। এইভাবে চলতে থাকলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা অচিরেই ভেঙে পরবে।
সেই কারণে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অথবা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক বলেও দাবি করলেন সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ।
এদিনের সম্মেলনে প্রশাসনিক বদলির নামে শাস্তিমূলক বদলি বন্ধ করা, শিক্ষা বহির্ভূত কাজ থেকে প্রধান শিক্ষকদের মুক্তি দেওয়া, ছুটির দিনে কাজের জন্য চাপ না দেওয়ার মতো বেশ কিছু দাবি তোলা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, কিছুদিন পরেই প্রধান শিক্ষকদের এই নতুন সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বহরমপুরে। তারজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন