সমকালীন প্রতিবেদন : তপশিলি জাতিভুক্ত না হয়েও প্রভাব খাটিয়ে, সরকারি দপ্তরের কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা শংসাপত্র বের করা হচ্ছে। আর সেই শংসাপত্র দাখিল করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষেরা। এমন অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
শুক্রবার নিজেদের দাবির সমর্থনে সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকে বনগাঁ শহরে একটি মিছিল করা হয়। পাশাপাশি, বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে নানা রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
সেই মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, বনগাঁ মহকুমা এলাকায় এমন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যারা তপশিলি জাতিভুক্ত না হয়েও তারা তপশিলি জাতিভুক্ত হিসেবে শাংসাপত্র বের করে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। সেখানে রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি উচ্চবর্ণের মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছে। মতুয়া মহা সংঘের বক্তব্য, এই বিল পাশ করে সংবিধানে সংরক্ষণের যে নিয়মের কথা বলা হয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আসলে কেন্দ্র সরকার সমস্তরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাতিল করে দিতে চায়।
সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য প্রথম দেশে সংরক্ষণের নিয়ম চালু হয়। সেখানে বলা হয়েছে, যাদের বছরে ৮ লক্ষ টাকা আয়, ১৫ বিঘা সম্পত্তি এবং ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে, তার থেকে কম যাদের অবস্থান, তাঁরা এই সংরক্ষণের আওতায় থাকবেন বলে জানান সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের যুগ্ম সম্পাদক মনোজ টিকাদার।
বাগদায় বিধায়ক থাকাকালীন উপেন বিশ্বাস বাগদা এলাকার তৃণমূল নেতা পরিতোষ সাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা শংসাপত্র বের করার অভিযোগ তোলেন। এদিন সেই বিষয়টি উল্লেখ করে সে ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন