সমকালীন প্রতিবেদন : শনিবার শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগে ঠাকুরনগরের কর্মসূচিতে বিজেপির যে নেতারা উপস্থিত ছিলেন না, রবিবার সেই মঞ্চেই অন্য একটি অনুষ্ঠানে তারাই হাজির হলেন। আর এই ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল। যদিও এটিকে গোষ্ঠীকোন্দল বলতে নারাজ বিজেপি।
উল্লেখ্য, শনিবার শান্তনু ঠাকুরের ডাকে গাইঘাটার ঠাকুরনগরে সিএএ এর সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। প্রথমে এই কর্মসূচি সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের ব্যানারে হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত তা বিজেপির ব্যানারেই অনুষ্ঠিত হয়। আর এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবারের অনুষ্ঠান মঞ্চে অবশ্য দেখা মেলেনি দলের বিধায়ক স্বপন মজুমদার, দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাসকে। উল্লেখ্য, স্বপন মজুমদার, রামপদ দাস দলে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত।
শনিবার যে মঞ্চে শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, রবিবার সেই মঞ্চেই দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে আরও একটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরেরা।
শনিবারের কর্মসূচি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দলের জেলা সভাপতি রামপদ দাস এবং বিধায়ক স্বপন মজুমদার দুজনেই জানান, শনিবার তাঁরা আমন্ত্রিত ছিলেন না। সেটি দলের কোনও কর্মসূচি ছিল না। রবিবারের কর্মসূচিটি অরাজনৈতিক এবং সামাজিক একটি অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, রবিবার ঠাকুরনগরে অরাজনৈতিকভাবে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন রামপদ দাস, স্বপন মজুমদার সহ দলের অন্যান্য নেতারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন