সমকালীন প্রতিবেদন : জাল টানতে গিয়ে অবাক মৎস্যজীবীরা। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয় নি তাদের। একটা দুটো নয়, শতাধিক দৈত্যাকার মাছ ধরা পরল তাদের জালে। আর সেই মাছ ডাঙায় তুলে আনতে হিমশিম খেতে হয় মৎস্যজীবীদের।
জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার বেলপুকুর রাঙাফলা এলাকার মৎস্যজীবী মতিন জমাদার তার ৪ সঙ্গী মনিরুল মোল্লা, মোশারফ জমাদার, সতীশ জমাদার এবং সুকুমার হালদারকে নিয়ে অন্যান্যদিনের মতো নয়াচর এলাকায় হুগলী নদীতে ভোররাতে মাছ ধরতে যান।
বৃহস্পতিবার প্রথম ২৪ টি বিশালাকার ভোলা মাছ ধরা পরে। স্থানীয়দের কথায় এই মাছগুলির নাম নোড়ে ভোলা। একেকটি প্রায় ৫ ফুট লম্বা। শুক্রবার একই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে আরও ৮৫ টি এই মাছ ধরা পরে। পর পর দুদিন এমন দৈত্যকার মাছ ধরা পরার ঘটনায় অবাক মৎস্যজীবীরা।
একসঙ্গে এতোগুলি বড় বড় মাছ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পরায় খুশির হাওয়া বেলপুকুর এলাকায়। মাছ ধরা পরার খবর ছড়িয়ে পরতেই সেই মাছ দেখার জন্য এই গ্রামে ভিড় জমান বহু মানুষ। গ্রামবাসীরা জানান, মাছগুলি যারা পেয়েছেন, তারা খুবই গরিব।
মৎস্যজীবীরা জানান, এই মাছগুলি সাধারণত সমুদ্রে পাওয়া যায়। তাদের ধারনা, মাছগুলির একটি ঝাঁক সমুদ্র থেকে কোনওভাবে হুগলী নদীতে এসে পরেছে। আর তারপরই সেগুলি মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পরে। ভবিষ্যতে এমন মাছ আরও ধরা পরলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে জানালেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন